শুক্রবার (০১ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডল তার এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে তার গাড়ি চালক সাজ্জাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার দুপুরে মঞ্জুকে আদালতে হাজির করে পুলিশ দুই মামলায় সাত দিন করে ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত দুই মামলায় পাঁচ দিন করে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দিনগত রাতে র্যাব বাদী হয়ে রাজধানীর ওয়ারী থানায় মঞ্জুর বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা দায়ের করে।
র্যাব-৩ এর অপারেশন অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ. বি. এম. ফয়জুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, কাউন্সিলর মঞ্জুর কার্যালয় থেকে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওয়ারী থানায় দায়েরকৃত মামলা নম্বর-২৬ ও ২৭।
চলমান শুদ্ধি অভিযানের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে টিকাটুলির নিজ কার্যালয় থেকে ময়নুল হক মঞ্জুকে আটক করে র্যাব-৩। এ সময় তার কার্যালয় থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, মাদক ও নিষিদ্ধ ওষুধ উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, কাউন্সিলর মঞ্জু চাঁদাবাজির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা অবৈধভাবে অর্জন করেছেন এবং সেসব অর্থ আমেরিকায় বসবাসরত পরিবারের কাছে হুন্ডির মাধ্যমে পাচার করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছিল মঞ্জুর আয়ের উৎস।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৯
কেআই/জেডএস