চলতি বছরের ১০ এপ্রিল নুসরাতের মৃত্যুর পর আইনজীবী সাজু বলেছিলেন, ‘দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তির রায় নিয়ে নুসরাতের কবরের পাশে দাঁড়াবো। ’
শুক্রবার (০১ নভেম্বর) সোনাগাজী পৌর শহরের পাশে নুসরাতের কবর জিয়ারত করেন তিনি।
এসময় শাহজাহান সাজু বলেন, নুসরাত জাহান রাফি বিশ্বের ইতিহাসে প্রতিবাদের প্রতীক হয়ে থাকবে। নুসরাত সব নারীদের সাহস হয়ে থাকবে।
‘ন্যায়ের পক্ষে প্রতিবাদী নুসরাতের জন্য লড়েছি। আমারও তিনটা মেয়ে আছে। তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ যেন নুসরাতের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো না হয় তার জন্য লড়েছি। নুসরাতের পাশে ছিলাম, তার পরিবারের পাশেও থাকবো। ’
এসময় উপস্থিত ছিলেন নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান, ছোট ভাই রাশেদুল হাসান রায়হান, দৈনিক অজেয় বাংলার নির্বাহী সম্পাদক মো. শাহজালাল ভূঞাঁ।
কবর জেয়ারত শেষে শাহহাজাহান সাজু নুসরাতের মা শিরিন আখতারসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মামুনুর রশিদ নুসরাত জাহান রাফিকে হাত-পা বেঁধে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় ১৬ আসামির সবাইকে মৃত্যুদণ্ড দেন। আসামিদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়। এই টাকা আদায় করে নুসরাতের পরিবারকে দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে এ বছরের ৬ এপ্রিল মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজের ইন্ধনে নুসরাতের গায়ে আগুন দিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায় আসামিরা। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বার্ণ ইউনিটে নুসরাতের মৃত্যু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৯
এসএইচডি/এইচএডি/