চার দিনের রিমান্ড শেষে শনিবার (০২ নভেম্বর) তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামান। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা আক্তার আবেদন মঞ্জুর করে সেতুকে কারাগারে পাঠান।
এর আগে গত ২৮ অক্টোবর সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সেতুর সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন।
গত ২৭ অক্টোবর রাতে রাজধানীর বাংলামোটর এলাকা থেকে সেতুকে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ডিএমপির উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ফাহাদ হত্যা মামলার এজাহারে মাহমুদ সেতুর নাম উল্লেখ নেই। তবে আগে গ্রেফতার ব্যক্তিদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি ও বিভিন্ন সাক্ষ্য-প্রমাণে হত্যাকাণ্ডে সেতুর সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানা যায়, এস এম মাহমুদ সেতু বুয়েটের ১৪ ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে বিএসসি সম্পন্ন করেন। তিনি বুয়েটের শেরেবাংলা হলের ২০১২ রুমে থাকতেন। তিনি মানিকগঞ্জের একটি ওষুধ কোম্পানিতে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কর্মরত ছিলেন।
গত ৬ অক্টোবর দিবাগত রাতে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। পরে শেরে বাংলা হলের দ্বিতীয় তলা থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা তাকে মেডিক্যাল (ঢামেক) কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান সহপাঠীরা। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় নিহত ফাহাদের বাবা মো. বরকত উল্লাহ চকবাজার থানায় ১৯ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৯
কেআই/জেডএস