মঙ্গলবার (০৫ নভেম্বর) বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
কক্সবাজারের বাসিন্দা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকা লিনা এ রিট দায়ের করেন।
আবেদনে কক্সবাজারের ৪ টি পৌরসভা এবং ৭১ টি ইউনিয়নের পুনরায় জন্ম নিবন্ধন পুনরায় শুরু করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং জন্ম নিবন্ধন পুনরায় শুরু করতে বিবাদীদের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
এছাড়া ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে জন্ম নিবন্ধন করতে না পারা শিশুদের জন্ম নিবন্ধনের সুযোগ দেওয়ার নির্দেশনা জারির আবেদনও জানানো হয়েছে।
আবেদনে স্থানীয় সরকার সচিব, স্থানীয় সরকারের বিভাগের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের রেজিস্ট্রার জেনারেল, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ও কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে বিবাদী করা হয়েছে।
স্থানীয় একটি দৈনিকের ‘২০ মাস ধরে বন্ধ জন্ম নিবন্ধন’ শীর্ষক প্রতিবেদন যুক্ত করে এ রিট দায়ের করেন তিনি।
নাসরিন সিদ্দিকা লিনার মতে, অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গারা যাতে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব লাভসহ পরিচয়পত্র গ্রহণ করতে না পারে সে জন্য কক্সবজারের ৪ টি পৌরসভা এবং ৭১ টি ইউনিয়নের জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে কক্সবাজারের স্থানীয় জনসাধারণ অনলাইনে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন, বিদ্যালয়ে ভর্তি, পাসপোর্টগ্রহণ, ভোটার তালিকায় নিজ নাম অন্তর্ভুক্তি ইত্যাদি ক্ষেত্রে বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন।
গত মে মাসে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, ‘কক্সবাজার জেলার ৪ টি পৌরসভাসহ ৮ উপজেলায় দীর্ঘ ২০ মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় লোকজন। দীর্ঘ সময় ধরে স্থানীয়রা জন্ম নিবন্ধন ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ সময় পার করলেও বর্তমানে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে অনলাইনের বাধ্যতামূলক জন্ম নিবন্ধন কপি সংযোজন করতে হওয়ায় চরম বিপাকে পড়ছে নতুন ভোটার হতে আগ্রহীরা। ’
‘স্থানীয়দের অভিযোগ, রোহিঙ্গাদের কারণে কক্সবাজারের স্থানীয় মানুষের সমস্যার শেষ নেই। তার ওপর দীর্ঘ ২০ মাস ধরে জাতীয় সার্ভার বন্ধ করে রাখা খুবই দুঃখজনক। এর একটি বিহিত করা জরুরি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১১২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৯
ইএস/এমএ