মামলায় দু’জনকে যাবজ্জীবন ও একজনকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি সবাইকে অর্থদণ্ডও দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৫ নভেম্বর) বিকেলে বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আবু শামীম আজাদ এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, বরিশাল নগরের রুপাতলী চরের বাড়ি এলাকার নজরুল ইসলাম খান ও তার স্ত্রী নাছিমা বেগম নাছরিন এবং সাগরদী ওয়াপদা কলোনি এলাকার শাকিল আহমেদ।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালের ৯ জুন মামলার তিন নম্বর আসামি নাছিমা বেগম ওরফে নাছরিন বাদীর ১৯ বছরের মেয়েকে চাকরি দেয়ার কথা বলে বাসা থেকে ডেকে নেন। এরপর লঞ্চে ভুক্তভোগীকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।
ঢাকা নেয়া থেকে শুরু করে পথে বিভিন্ন স্থানে মামলার এক ও দুই নম্বর আসামি নজরুল ইসলাম খান ও শাকিল আহমেদ ভুক্তভোগীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনায় ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে ২০০৩ সালের ২০ জুন একটি মামলা দায়ের করেন। কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই মাহিয়া খানম ওই বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
সাত জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত বুধবার মামলার রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে মামলার এক ও দুই নম্বর আসামি নজরুল ইসলাম খান ও শাকিল আহমেদকে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯ এর ৩ ধারায় (গণধর্ষণ) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও চার বছরের কারাদণ্ড এবং ২০০০ এর ৭ ধারায় (অপহরণ) ১৪ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে দু’বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
অপরদিকে মামলার এক নম্বর আসামি নজরুল ইসলাম খানের স্ত্রী, তিন নম্বর আসামি নাছিমা বেগম ওরফে নাছরিনকে ২০০০ এর ৭ ধারায় (অপহরণ) ১৪ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে দু’বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী আজিবর রহমান জানিয়েছেন, দণ্ডপ্রাপ্তরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৯
এমএস/এবি