ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

‘বহির্বিশ্বে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতেই হলি আর্টিজানে হামলা’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০১৯
‘বহির্বিশ্বে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতেই হলি আর্টিজানে হামলা’

ঢাকা: দেশের সংহতি, নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন এবং বহির্বিশ্বের কাছে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে পরিকল্পিতভাবে ঠাণ্ডা মাথায় হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে হামলা চালানো হয়। যে হামলায় নয়জন ইতালীয়, সাতজন জাপানি, তিনজন বাাংলাদেশি যাদের একজন যুক্তরাষ্ট্রেরও নাগরিক এবং একজন ভারতীয় নাগরিককে হত্যা করা হয়।

হলি আর্টিজান মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে একথা বলেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গোলাম ছারোয়ার খান জাকির। বুধবার (৬ নভেম্বর) সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের আদালতে প্রথম দিনের মতো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন তিনি।

আদালত অসমাপ্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দিন ধার্য করেন।

যুক্তিতর্কের মাধ্যমেই এই মামলার বিচারকাজ শেষ হবে। এরপর আদালত রায় ঘোষণা করবেন।

গত ৩০ অক্টোবর এই মামলার আসামিরা ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দেন। এর পর আদালত যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য ৬ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। সে অনুযায়ী বুধবার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হলো।

এর আগে এই মামলায় ২১১ জন সাক্ষীর মধ্যে সবমিলিয়ে ১১৩ জন সাক্ষ্য দেন।  

এই মামলার আসামিরা হলেন- জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে র‌্যাশ, সোহেল মাহফুজ, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, হাদিসুর রহমান সাগর, শরিফুল ইসলাম খালেদ ও মামুনুর রশিদ।

এছাড়া বিভিন্ন অভিযানে ১৩ জঙ্গি নিহত হওয়ায় তাদের অব্যাহতির সুপারিশ করেন তদন্ত কর্মকর্তা। পরে মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে হামলা চালিয়ে বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। তাদের গুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তাও নিহত হন। পরে সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানে পাঁচ জঙ্গি নিহত হয়। ওই ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় একটি মামলা করে পুলিশ।

২০১৮ সালের ২৩ জুলাই ৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবীর। একই বছর ৮ আগস্ট চার্জশিট গ্রহণ করেন আদালত। পরে ২৬ নভেম্বর আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এই হামলার বিচার শুরু হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৯
কেআই/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।