বর্তমান কমিটির নেতাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।
গত ৪ নভেম্বর এক আদেশে হাইকোর্ট আগামী ৮ নভেম্বর (শুক্রবার) অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) ২০১৯-২০২১ সেশনের নির্বাচনের উপর স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করেছিলেন।
ওইদিন আদালতে রিটকারীদের আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান চৌধুরী ও আইনজীবী ইমাম হাসান।
অপরপক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, এএম আমিন উদ্দিন ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।
ওইদিন ইমাম হাসান জানান, এ নির্বাচনের জন্য ১২ সেপ্টেম্বর একটি প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হয়। যেখানে ১১৪ জনের বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে ১৮ সেপ্টেম্বর নির্বাচনী বোর্ডের আবেদন করেন নির্বাচনের প্রার্থী বিপুল ঘোষ (শঙ্কর)। কিন্তু নির্বাচনী বোর্ড ২৯ সেপ্টেম্বর ওই ১১৪ জনকে রেখে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করে। পরে তিনি এফবিসিসিআই’র আরবিট্রেশন ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। এর মধ্যে তিনি হাইকোর্টে রিটও করেন। ৩০ অক্টোবর আরবিট্রেশন ট্রাইব্যুনাল আবেদন খারিজ করেন।
পরে বিপুল ঘোষ হাইকোর্টে একটি সম্পূরক আবেদন করেন। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত নির্বাচনের ওপর দুই মাসের স্থগিতাদেশ দিয়ে এক সপ্তাহের রুল জারি করেছেন। রুলে এফবিসিসিআইর আরবিট্রেশন ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়েছেন।
বাণিজ্য সচিবসহ ১২৯ জনকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে বলে জানান ইমাম হাসান। হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে বর্তমান কমিটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৯
ইএস/এএ