এরপর সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের আদালত অসমাপ্ত যুক্তিতর্কের জন্য আগামী ১৩ নভেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
এদিন রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট গোলাম ছারোয়ার খান জাকির।
তবে আসামিপক্ষের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত প্রশ্নের জবাব দিতে রাষ্ট্রপক্ষ আরেক দফা সময় পাবে বলে জানান গোলাম ছারোয়ার খান জাকির। তিনি বলেন, যুক্তিতর্কের মাধ্যমেই এই মামলার বিচারকাজ শেষ হবে। এরপর আদালত রায় ঘোষণা করবেন।
এর আগে এই মামলায় ২১১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১৩ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এরপর আসামিরা ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দেন।
এই মামলার আসামিরা হলেন- জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে র্যাশ, সোহেল মাহফুজ, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, হাদিসুর রহমান সাগর, শরিফুল ইসলাম খালেদ ও মামুনুর রশিদ।
এছাড়া বিভিন্ন অভিযানে ১৩ জঙ্গি নিহত হওয়ায় তাদের অব্যাহতির সুপারিশ করেন তদন্ত কর্মকর্তা। পরে মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে হামলা চালিয়ে বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। তাদের গুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তাও নিহত হন। পরে সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানে পাঁচ জঙ্গি নিহত হয়। ওই ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় একটি মামলা করে পুলিশ।
২০১৮ সালের ২৩ জুলাই ৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবীর। একই বছর ৮ আগস্ট চার্জশিট গ্রহণ করেন আদালত। পরে ২৬ নভেম্বর আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এই হামলার বিচার শুরু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৯
কেআই/এইচএ/