ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

শ্রুতি লেখক ছাড়াই পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন সুদীপ দাস

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০১৯
শ্রুতি লেখক ছাড়াই পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন সুদীপ দাস সুদীপ দাস

ঢাকা: শুক্রবার (৮ নভেম্বর) অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের ১৩তম পরীক্ষায় শ্রুতি লেখক ছাড়াই অংশ নিচ্ছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আইন বিভাগ থেকে ডিগ্রি নেওয়া দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সুদীপ দাস।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) তার আইনজীবী কুমার দেবুল দে জানান, শ্রুতি লেখক চেয়ে করা রিট আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত। পরে এ রিট অন্য বেঞ্চে উপস্থাপন করা হবে।

তবে, শুক্রবার অনুষ্ঠেয় পরীক্ষায় সুদীপ দাস অংশ নেবেন।

সুদীপ দাস বলেন, ২০১৮ সালের মতো শুধু নাম লিখে উত্তর দেওয়া ছাড়া চলে আসবো।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।

এর আগে বুধবার বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের ১৩তম পরীক্ষাসহ (নৈর্ব্যক্তিক ও লিখিত) সব ধরনের পরীক্ষায় শ্রুতি লেখকের সুযোগ চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন।

আবেদনে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩ এর ১৬ (ঝ) অনুযায়ী, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সংরক্ষিত অধিকার সুরক্ষায় বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং অনুষ্ঠেয় ১৩তম জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন পরীক্ষা অথবা সব ধরনের পরীক্ষায় আবেদনকারীকে শ্রুতি লেখক দিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, মর্মে রুল জারির আর্জি জনানো হয়েছে।

এতে বিবাদী করা হয়েছে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের (বিজেএসসি) চেয়ারম্যান, সচিব, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, আইনসচিব ও সমাজ কল্যাণসচিবকে।

তার আইনজীবী কুমার দেবুল দে সাংবাদিকদের বলেন, চবির আইনে ডিগ্রি নেওয়া সুদীপ দাস এর আগেও জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের ১১ ও ১২তম পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী ছিলেন। তবে, প্রথমবার ’১৭ সালে শ্রুতি লেখকের সুযোগ না পেয়ে পরীক্ষায় অংশ নেননি।

‘আর ‘১৮ সালে আবেদন করে শ্রুতি লেখক না পেলেও পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সাদা কাগজ জমা দিয়ে এসেছিলেন। চলতি বছরের পরীক্ষাতে শ্রুতি লেখক চেয়ে গত ৫ নভেম্বর জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনে আবেদন করলেও এখন পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি। তাই তিনি রিট করেছেন। ’

রিটের পর আদালতে উপস্থাপন করলে বৃহস্পতিবার শুনানির জন্য কার্যতালিকায় থাকতে পারে বলে জানান কুমার দেবুল দে।

সুদীপ দাস বাংলানিউজকে বলেন, বিভিন্ন পরীক্ষায় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের শ্রুতি লেখক দেওয়া হয়। কিন্তু বিজেএসসি’র পরীক্ষায় তা দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া বিভিন্ন দেশে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বিচারক রয়েছেন। যেমন ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা ও আমেরিকাতেও আছেন।

তিনি আরও বলেন, আমি সহকারী জজ হওয়ার ইচ্ছা থেকে এ চেষ্টা করছি। তারপরও আমি যদি নাও পাই আমার অনুজেরা এ সুযোগ পাবেন বলে আশা করছি।

২০০৭ সালে সুদীপ দাস এসএসসি ও ২০০৯ সালে এইচএসসি পাস করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন। পরবর্তীতে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২২৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৯
ইএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।