ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

গৌরনদীতে যুবকের যাবজ্জীবন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০১৯
গৌরনদীতে যুবকের যাবজ্জীবন

বরিশাল: বরিশালের গৌরনদীতে কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ধর্ষককে পৃথক ধারায় কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে অপহরণের দায়ে ১৪ বছর কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর এবং ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের দণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও ধর্ষণের পর শিক্ষার্থীর গর্ভে জন্ম নেওয়া শিশুকন্যাটির বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত তার সব ধরনের ব্যয়ভার সরকারকে বহন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং একইসঙ্গে দন্ডিতর জরিমানার টাকা ভিকটিমকে দেওয়া নির্দেশ দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) এ দণ্ড দেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু শামীম আজাদ।

রায় ঘোষণার সময় আসামি সোহাগ চাপরাশি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি গৌরনদীর বছার গ্রামের আমির চাপরাশির ছেলে।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী আজিবর রহমান জানান, ভিকটিম ৮ম শ্রেণির ছাত্রী থাকা অবস্থায় বিভিন্ন সময় বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে কুপ্রস্তাব দিতেন সোহাগ চাপরাশি। এতে নিষেধ করায় ক্ষিপ্ত হয় সোহাগ। এর জেরে ২০১০ সালের ২১ মার্চ বিদ্যালয় যাওয়ার পথে ভিকটিমকে অপহরণ করে নিয়ে যান সোহাগ। পরে একাধিক বার ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ’১০ সালের ১ এপ্রিল ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ধর্ষণ ও অপহরণ মামলা করেন।

ধর্ষণে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করেন। ’১১ সালের ৬ জুলাই ভিকটিমের একটি কন্যাসন্তান হয়। ওই মামলায় চলতি বছরের ১৯ মার্চ সোহাগের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলায় পাঁচজনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক ওই দণ্ড দেন।

বাংলাদেশ সময়: ০২২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৯
এমএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।