বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) এ নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
নির্দেশনায় ৯০ দিনের মধ্যে এ আদেশ পালন করে স্থানীয় সরকার সচিব ও শিক্ষা সচিবকে ২৩ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন আদালত।
এদিন আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ কে রাশেদুল হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত। স্থানীয় সরকার সচিবের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আশরাফুল আলম।
পরে এ কে রাশেদুল হক জানান, স্থানীয় সরকারের সচিবের প্রতিবেদন অনুসারে ৩০টির মতো এ রকমের স্থাপনা আছে। যার মধ্যে অনেকগুলো ইতোমধ্যে পরিবর্তন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আদালত আদেশ দিয়েছেন এ ধরনের যেকোনো স্থাপনা থেকে স্বাধীনতাবিরোধীদের নাম পরিবর্তন করে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের নামে নামকরণ করতে। ৯০ দিনের মধ্যে এটা বাস্তবায়ন করে ২৩ ফ্রেব্রুয়ারি প্রতিবেদন দিতে হবে।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর দালাল আইনে বিচার শুরুর সময় প্রকাশিত ছয়শ স্বাধীনতাবিরোধী অপরাধীর তালিকাতে মুসলিম লীগ নেতা খান এ সবুরের নাম ছিল।
অপরদিকে দেশ স্বাধীনের পর স্বাধীনতাবিরোধী ভূমিকার কারণে ১৯৭২ সালে দালাল আইনে জিয়াউর রহমানের সময়কার প্রধানমন্ত্রী শাহ আজিজুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
স্বাধীনতাবিরোধীদের নামে স্থাপনা নামকরণ প্রত্যাহারের নির্দেশনা চেয়ে ২০১২ সালে হাইকোর্টে একটি রিট করেন অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন ও শাহরিয়ার কবির।
ওই রিটের প্রেক্ষিতে একই বছরের ১৪ মে ওই দুই স্থাপনা থেকে স্বাধীনতাবিরোধীদের নাম প্রত্যাহারের আদেশ দেওয়া হয়।
আদেশে বলা হয়, খুলনা মহানগরীর ‘খান-এ-সবুর’ সড়কের নাম প্রত্যাহার করে আগের ‘যশোর রোড’ নামটি ব্যবহার করতে হবে এবং ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘শাহ আজিজুর রহমান’ মিলনায়তনের নাম প্রত্যাহার করতে হবে।
দীর্ঘ তিন বছরে আদালতের ওই নির্দেশনা অনুসরণ করা হয়নি মর্মে ২০১৫ সালের আগস্টে আবারো আদালতে আসেন মুনতাসীর মামুন ও শাহরিয়ার কবির। পরবর্তী ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদেশের ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার এই নির্দেশনা দেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৬
ইএস/এসএ