হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় দেন। ২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর দেওয়া এ রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
আদালতে রিটকারীদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন রুহুল কুদ্দুস। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মমতাজউদ্দিন ফকির
এ রায়ের বিষয়ে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মমতাজউদ্দিন ফকির বলেন, সরকার মুক্তিযোদ্ধা চাকরিজীবীদের অবসরের বয়স ৬০ বছর নির্ধারণ করে যে আইন করেছে, তা বৈধ বলে রায় দেন আপিল বিভাগ।
‘ফলে মুক্তিযোদ্ধা চাকরিজীবীদের অবসরের বয়স ৬০ বছরই থাকছে,’ বলেন তিনি।
গণকর্মচারীদের অবসরের বয়সসীমা নিয়ে আইন সংশোধন করে ৫৭ থেকে ৫৯ বছর করা হয়। এরপর আইন সংশোধন করে মুক্তিযোদ্ধা গণকর্মচারীদের অবসরের বয়স করা হয় ৬০ বছর। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের দাবি ছিল ৬১ বছর করার।
এ অবস্থায় চাকরি থেকে অবসরের বয়সসীমা ২ বছর বাড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে শাহ জামাল মোল্লাসহ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা রিট আবেদন করেন।
পরে হাইকোর্ট ২০১৭ সালের ২৮ নভেম্বর এক রায়ে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়সসীমা ৬০ বছর থেকে আরও একবছর বাড়িয়ে ৬১ বছর করার জন্য আইন করার কথা বলেন।
এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে সরকার। আপিলের ওপর শুনানি শেষে গত বছরের ১৮ নভেম্বর আপিল বিভাগ রায় দেন। রায়ে হাইকোর্টের রায় বাতিল করা হয়। সম্প্রতি আপিল বিভাগের এ রায় প্রকাশিত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৯
ইএস/এসএ/এমএ