সোমবার (১৮ নভেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. কায়সারুল ইসলাম অভিযোগপত্র গ্রহণ করে পলাতক চার আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
এ বিষয়ে আগামী ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে পরোয়ানা তামিলের বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এরপর আদালত বিচারের জন্য মামলাটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তরের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
পলাতক চার আসামি হলেন- মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম, মোর্শেদ অমত্য ইসলাম ও মোস্তবা রাফিদ। এর মধ্যে মোস্তবা রাফিদের নাম এজাহারে ছিল না।
গত ১৩ নভেম্বর মামলায় ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে গোয়েন্দা পুলিশ। অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৯ জন এবং এজাহার বহির্ভুত ৬ জন। গ্রেফতারদের মধ্যে ৮ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
সোমবার গ্রেফতার আসামিদের আদালতে আনা হলেও এজলাসে তোলা হয়নি।
এই মামলার গ্রেফতার হওয়া আসামিরা হলেন-বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ, বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, বহিষ্কৃত তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, বহিষ্কৃত ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিওন, বহিষ্কৃত উপ-সমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ, বহিষ্কৃত সদস্য মুনতাসির আল জেমি, মুজাহিদুর রহমান মুজাহিদ এবং খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির ও ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না মিজানুর রহমান মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, মনিরুজ্জামান মনির ও আকাশ হোসেন, বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত উপ-আইন সম্পাদক অমিত সাহা, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান, শামীম বিল্লাহ ও মোয়াজ আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, এস এম মাহমুদ সেতু ও এস এম মাহমুদ সেতু। এর মধ্যে আটজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
গ্রেফতারদের মধ্যে ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মিজানুর রহমান মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত ও এস এম মাহমুদ সেতু ছাড়া বাকি সবাই এজাহারভুক্ত আসামি।
গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলে ছাত্রলীগের কিছু উচ্ছৃঙ্খল কর্মীর হাতে নির্দয় পিটুনির শিকার হয়ে মারা যান বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ।
এ ঘটনায় পরদিন নিহতের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি মামলা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৯/আপডেট: ১২১৮ ঘণ্টা
কেআই/এমএ/