আগামী ১ ডিসেম্বর (রোববার) আদালতে হাজির হয়ে তাকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
মোবাইল কোর্টে সাজাপ্রাপ্ত এক আসামির করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
রুলে র্যাব সদর দপ্তরের ১৮ জুলাই দেওয়া ৪৪০/২০১৯ নম্বর মামলার আদেশের সত্যায়িত অনুলিপি দিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না এবং ওই আদেশের সত্যায়িত অনুলিপি ৫ কার্যদিবসের মধ্যে দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
সাত দিনের মধ্যে আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক, নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলমকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এম. সাখাওয়াত হোসাইন খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় বলেন, কেন সার্টিফায়েড অনুলিপি দেওয়া হয়নি আগামী ১ ডিসেম্বর হাজির হয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলমকে তার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
আইনজীবী ব্যারিস্টার সাখাওয়াত হোসাইন খান জানান, নারায়ণগঞ্জের সিদ্দিরগঞ্জের বটতলা খালপাড়ের তপু এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার মো. মিজান মিয়াকে মৎস্য ও পশু খাদ্য আইন ২০১০ এর অধীনে ১৮ জুলাই এক বছরের সাজা দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ২১ জুলাই নারায়ণগঞ্জ বারের আইনজীবী অঞ্জন দাসের মাধ্যমে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আপিলের জন্য আদেশের অনুলিপি চেয়ে আবেদন করা হয়। কিন্তু অদ্যবধি এটা পাওয়া যায়নি। এ কারণে আপিলও করতে পারেননি মিজান মিয়া। আপিল করা আবেদনকারীর মৌলিক অধিকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৯
ইএস/জেডএস