এ বিষয়ে তাদের করা আপিল খারিজ করে মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিচারপতি এ কে এম আব্দুল হাকিম ও বিচারপতি ফাতেমা নজীবের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় দেন। এ রায় সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালতে পৌঁছার পর তিন মাসের মধ্যে তাদের আত্মসমর্পণ করতে হবে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো.আসাদুজ্জামান। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
খুরশীদ আলম খান বলেন, দীর্ঘ ৪০ দিনের মতো আপিল শুনানি হয়েছে। মঙ্গলবার আপিল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। তথ্য গোপনের অভিযোগে মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনের ৩ বছরের সাজা এবং জ্ঞাত আয় বর্হিভূত অবৈধ সম্পদের অভিযোগে ১০ বছরের সাজা বহাল থাকলো। ওনার ছেলে মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনকে সহযোগিতার (অ্যাবেটমেন্ট) জন্য তিন বছরের সাজা বহাল। ফাইনসহ বিচারিক আদালতে যেভাবে রায় দিয়েছিলো সেটা বহাল। এখন এ রায় বিশেষ জজ আদালত ঢাকা-২ যে দিন রিসিভ করবেন সেদিন থেকে পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে আত্মসমর্পণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপিল করার সুযোগ আছে। ওনাদের আপিল করতে হলেও আত্মসমর্পণ করতে হবে।
২০০৭ সালের ৬ মার্চ অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মীর নাসির ও তার ছেলে মীর হেলালের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এ মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ একই বছরের ৪ জুলাই এক রায়ে মীর নাসির উদ্দিনকে পৃথক ধারায় তিন বছর ও ১০ বছরের দণ্ড দেন। একইসঙ্গে ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে দুই বছরের দণ্ড দেন।
এছাড়া তার ছেলে মীর হেলালকে তিন বছরের কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকার অর্থদণ্ড দেন দেন। অনাদায়ে এক মাসের দণ্ড দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে পৃথক দু’টি আপিল করেন।
হাইকোর্ট ২০১০ সালের ১০ আগস্ট মীর নাসিরের এবং একই বছরের ২ আগস্ট মীর হেলালের সাজা বাতিল করে রায় দেন। হাইকোর্টের ওই রায় বাতিল চেয়ে আপিল আবেদন করে দুদক। ২০১৪ সালের ৪ জুলাই বৃহস্পতিবার দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে রায়ে দেন আপিল বিভাগ।
রায়ে মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন ও তার ছেলে ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনকে দুর্নীতি মামলায় খালাস দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করেছেন। একইসঙ্গে মামলাটির আপিল আবেদন পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেওয়া হয়।
সে অনুসারে হাইকোর্টে ওই আপিল দু’টির পুনরায় শুনানি হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯,২০১৯
ইএস/ওএইচ/