বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক এবং খাগড়াছড়ি জেলা ও দায়রা জজ রেজা মো. আলমগীর হোসেন এ রায় দেন। এ সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
২০১৬ সালের ২৫ আগস্ট রাতে খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার কেয়াংঘাট ইউনিয়নের নতুনপাড়া এলাকায় ঘর থেকে ডেকে নিয়ে স্ত্রী ময়না আক্তারকে (১৯) শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন রবিউল ইসলাম। পরে মরদেহ বাড়ির পেছনের খাদে ফেলে দেয়।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ময়নার সঙ্গে রবিউলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে দু’জনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হয়। এতে ময়না অন্তঃসত্ত্বা হলে রবিউলকে বিয়ের কথা বলেন। কিন্তু রবিউল বিয়ে করতে অপারগতা জানিয়ে তাকে গর্ভপাত করার জন্য চাপ দেন।
পরে ২০১৬ সালে স্থানীয়রা সামাজিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর রবিউল ময়নাকে শ্বশুরবাড়িতে তুলে নেয়নি। বিয়ের পরও একাধিকবার ময়নার গর্ভপাত ঘটানোর জন্য চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। এতে ক্ষুব্ধ হন রবিউল। পরে ২৫ আগস্ট রাতে শ্বশুরবাড়িতে এসে ময়নার সঙ্গে দেখা করবে জানিয়ে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন। এ ঘটনায় ময়নার বাবা মাইনুল হক ওরফে ময়নাল বাদী হয়ে রবিউলসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৪/৫জনকে আসামি করে মহালছড়ি থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনার তিনমাস পর ২০ নভেম্বর রবিউলকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দেয়। মামলা চলাকালীন আসামির স্বীকারোক্তি ও ১৫ জন স্বাক্ষীগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন।
এ রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁশলী অ্যাডভোকেট বিধান কানুনগো।
এদিকে চলতি সপ্তাহে এ নিয়ে মোট তিনটি রায় দিয়েছেন আদালত। এরমধ্যে দু’টি স্ত্রীকে হত্যা ও একটি বাবাকে হত্যা। তিনটিতেই আদালত জড়িতদের মৃত্যুদণ্ড ও জরিমানা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৯
এডি/এএটি