এ মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সোমবার (২৫ নভেম্বর) দিন ধার্য ছিল। তবে এদিন প্রতিবেদন জমা না পড়ায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৪ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) দিন ধার্য করেছেন।
রেনু হত্যা মামলাটি তদন্ত করছিলেন বাড্ডা থানার ইনস্পেক্টর আব্দুর রাজ্জাক। সম্প্রতি বদলি হয়ে তদন্তভার গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে বাড্ডা থানার ডিউটি অফিসার ও পুলিশের উপপরিদর্শক ফেরদৌস আলম বাংলানিউজকে বলেন, এই মামলাটি কিছুদিন আগে তদন্তের দায়িত্ব থানা থেকে ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়েছে। তাই এখন ডিবি বিষয়টি তদন্ত করছে।
গত ২০ জুলাই সকালে ছেলেধরা সন্দেহে উত্তর বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে তাসলিমা বেগম রেনুকে বেধড়ক পেটানো হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ওইদিন বাড্ডা থানায় ৪০০/৫০০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিহত তাসলিমার ভাগ্নে নাসির উদ্দিন একটি হত্যা মামলা করেন।
নিহত রেনুর স্বজনদের দাবি, মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করাবে বলে খোঁজ নিতে বাড্ডার একটি স্কুলে গিয়েছিলেন রেনু এবং সেখানে গণপিটুনির শিকার হন তিনি। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে তখন আটকও করেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
নিহত তাসলিমার বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে। মহাখালীতে চার বছরের মেয়ে তুবা ও মাকে নিয়ে থাকতেন তাসলিমা। দুই বছর আগে স্বামীর সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়। তাহসিন নামে ১১ বছরের এক ছেলেও রয়েছে তার।
বালাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৯
কেআই/জেডএস