মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ ও এক নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আনিসুর রহমান এ রায় দেন।
একই সঙ্গে আসামিদের ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়।
১৪ বছর সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- চট্রগ্রাম জেলার আনোয়ারা থানার আবু তাহেরের ছেলে সেলিম (৩০), কুমিল্লা জেলার লাঙ্গল কোর্ট থানার মো. সিরাজ মিয়ার ছেলে মহিউদ্দিন (৩২)। পলাতক তিন সাজাপ্রাপ্ত আসামি হলেন চট্রগ্রাম জেলার সাতকানিয়া থানার মো. ইলিয়াসের ছেলে গিয়াসউদ্দিন, মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানার মৃত আজর আলীর ছেলে আ. মান্নান (৫২) ও রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ি থানার নওশাদ আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৪২)।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, ১১ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন। এ মামলার আরেক আসামি মঞ্জুর হোসেন জামিনে যাওয়ার পর চট্রগ্রামে ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ২২ আগস্ট গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-২ এর পুলিশ পরিদর্শক এনামুল হক সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন শিমরাইল রহমান কোল্ড স্টোরেজ ও মৌচাক বাসস্ট্যান্ডের সামনের একটি প্রাইভেটকার থেকে আসামিদের আটক করে। এসময় তাদের দেহ তল্লাশী করে আসামি সেলিম ও মহিউদ্দিনের কাছ পাঁচ লাখ পিস ও অপর আসামি গিয়াস উদ্দিন, আ. মান্নান, জাহাঙ্গীর আলম ও মঞ্জুর হোসেনের কাছ থেকে দুই হাজার পাঁচশ' পিস ইয়াবা জব্দ করে। পরে র্যাব-২ এর পুলিশ পরিদর্শক এনামুল হক বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৯
এমআরপি/এফএম