আইনজীবীরা জানিয়েছেন, এ রায়ের ফলে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে উন্নয়নের নামে কোনো ওয়াকফ সম্পত্তি হস্তান্তর করতে পারবেন না।
এ বিষয়ে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. ফারুকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট এবিএম নুরুল ইসলাম। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট ড. মো. ইদ্রিস মোল্লা ও মো. মহিউদ্দিন মহিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাইনুল হাসান।
ওয়াকফ সম্পত্তি হস্তান্তরের সুযোগ রেখে ২০১৩ সালে ওয়াকফ (সম্পত্তি হস্তান্তর ও উন্নয়ন) বিশেষ বিধান আইন করে।
আইনের ৪ ধারায় বলা হয়, ‘হস্তান্তর পদ্ধতি-(১) এই আইনের অধীন নিম্নরূপ পদ্ধতিতে সম্পত্তি হস্তান্তর করা যাইবে, যথা- (চ) অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে উন্নয়নের জন্য হস্তান্তরের মাধ্যমে।
ওই বছরই আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়। হাইকোর্ট ওই বছরের ২৯ এপ্রিল রুল জারি করেন।
রায়ের পর অ্যাডভোকেট এবিএম নুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, রাসুল (সা.)-এর সময় থেকে ওয়াকফ এর বিধান চালু হয়েছে। যার অঢেল সম্পত্তি রয়েছে তিনি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তার সম্পত্তির কিছু অংশ দান করে থাকেন যা ওয়াকফ নামের পরিচিত। এই ওয়াকফ’র সম্পত্তির আয় ধর্মীয়, দাতব্য ও মানবহিতৈষী কাজে ব্যয় করার বিধান রয়েছে। এর বাইরে অন্য কোনো কাজে এই সম্পত্তি হস্তান্তরযোগ্য নয়। কিন্তু এই সম্পত্তি হস্তান্তরের সুযোগ রেখে ২০১৩ সালে সরকার ওয়াকফ (সম্পত্তি হস্তান্তর ও উন্নয়ন) বিশেষ বিধান আইন করে।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৯
ইএস/এমএ