ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

রায়ে ইলিয়াস কাঞ্চনের প্রশংসা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০১৯
রায়ে ইলিয়াস কাঞ্চনের প্রশংসা

ঢাকা: শহীদ রমিজ উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় দেওয়া রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, সড়ক নিরাপদ রাখতে চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। এই আন্দোলনের মাধ্যমে তিনি সমাজে একজন আইকনে পরিণত হয়েছেন। তেমনি আমাদেরও নিরাপদ সড়কের জন্য নিজ নিজ জায়গা থেকে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে হবে।

তেমনিভাবে রায়ে, সড়ক নিরাপদ করতে গণমাধ্যম, পরিবহন মালিক, শ্রমিক ও রাস্তায় দায়িত্বরত ট্রাফিক বিভাগকে নিজ নিজ জায়গা থেকে দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বানও জানান বিচারক।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, সংবাদ এমনভাবে প্রচার করবেন না যাতে ছাত্রসমাজ বা সাধারণ মানুষের মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি না হয় বা মানুষ সংক্ষুব্ধ না হয়।

এ মামলায় দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারায় আসামিদের দণ্ড দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে এই ধারার সর্বোচ্চ শাস্তিই যে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সেটি আগে উল্লেখ করার অনুরোধ করছি। তাই এ ধারায় এর চেয়ে বেশি দণ্ড দেওয়ার সুযোগ ছিল না।

এর আগে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী দিয়া-রাজীবের মৃত্যুর ঘটনায় দুই বাসের চালকসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। একই সঙ্গে জাবালে নূর পরিবহনের মালিক জাহাঙ্গীর আলম ও বাসচালকের সহকারী এনায়েত হোসেনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।  

রোববার (১ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।  

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জাবালে নূর পরিবহনের দুই চালক মাসুম বিল্লাহ ও জুবায়ের সুমন এবং এক বাসের সহকারী কাজী আসাদ। এর মধ্যে কাজী আসাদ পলাতক থাকলেও বাকি দু’জন কারাগারে রয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৯
কেআই/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।