সোমবার (০২ ডিসেম্বর) দুপুরে যশোর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রোববার (০১ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকার চকবাজার ও সোমবার (০২ ডিসেম্বর) ভোররাতে যশোর শহরের মোল্লাপাড়া থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন, শহরের মোল্লাপাড়ার বাসিন্দা রায়হান (২১), একই এলাকার বাসিন্দা কালিপদ (২৪) ও ছোট শেখহাটির বাসিন্দা দাউদ (২১)।
গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত ছুরি ও মদের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মেশানো মদের বোতল ও তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত সুপার মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম জানান, ২১ অক্টোবর দিনগত রাতে যশোর শহরের মোল্লাপাড়ায় ভৈরব নদীর পাড়ে কলেজছাত্র সোহাগকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা হয়। ওই মামলার আসামি রাকিব ও কোরবান আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। অপর তিন আসামী রায়হান, কালিপদ ও দাউদ পলাতক হন।
তিনি জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মফিজুল ইসলাম প্রযুক্তির মাধ্যমে নিশ্চিত হন রায়হান রাজধানীতে অবস্থান করছে। রোববার বিকেলে ঢাকা থেকে রায়হানকে আটক করা হয়। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী যশোর শহরের মোল্লাপাড়া থেকে কালিপদ ও দাউদকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম আরও বলেন, আসামি রাকিবের স্ত্রী ও ভাগ্নির সাথে নিহত সোহাগের পরকীয়া প্রেম ও স্থানীয় কিশোর গ্রুপের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৯
ইউজি/এবি