বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত রোববার (১ ডিসেম্বর) এ আদেশ দেন। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ওই কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইয়াসমিন বীথি।
জামিন আবেদনের পর আসামিপক্ষের আইনজীবী জাহাঙ্গীর কবির বাংলানিউজকে জানিয়েছিলেন, নিম্ন আদালতে কামরুল ইসলাম সাইমুনের জামিন আবেদন খারিজ হয়েছে। তাই হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। এছাড়া গত ৫ নভেম্বর আরেক আসামি রাফিউল ইসলাম রাব্বির জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছিলেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। পরে রাব্বির জামিন আবেদনও এই বেঞ্চে উপস্থাপন করা হয়।
এর আগে ৫ নভেম্বর রিফাত হত্যা মামলার আসামি রাফিউল ইসলাম রাব্বি ও এক কিশোরের জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন হাইকোর্ট।
২৬ জুন প্রকাশ্য দিবালোকে বরগুনা সরকারি কলেজ রোডে স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির সামনে কুপিয়ে জখম করা হয় রিফাত শরীফকে। পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
আগামী ১ জানুয়ারি এ মামলায় প্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের শুনানির জন্য বরগুনার আদালতে দিন ধার্য রয়েছে।
রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আসামিরা হলেন রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি (২৩), আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), হাসান (১৯), মুসা (২২), আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), সাগর (১৯), কামরুল ইসলাম সাইমুন (২১)।
হত্যাকাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত নয়ন বন্ড গত ২ জুলাই ভোরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।
গত ১ সেপ্টেম্বর বিকেলে ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্তবয়স্ক ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দুই ভাগে বিভক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জন।
মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রাপ্তবয়স্ক আসামি মুসা এখনো পলাতক। এছাড়া নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি উচ্চ আদালতের নির্দেশে জামিনে রয়েছেন। আর বাকি আসামিরা কারাগারে রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৯
ইএস/একে