মঙ্গলবার (০৩ ডিসেম্বর) হাইকোর্ট বিভাগের স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন,যখনই কোনো প্রতিষ্ঠানে কোনো রকম দুর্নীতি ঢুকে যায়।
অনিয়মের বিষয়ে জনতে চাইলে তিনি বলেন, অনিয়মের চিত্রগুলো কী এবং আমি বিভিন্ন সময়ে ওপেন কোর্টে প্রধান বিচারপতিকে অভ্যর্থনা দেওয়া হয় তখনও বলেছি। দুইজন বিচারপতির অভ্যর্থনায় অনুষ্ঠানে আমি বিস্তারিত বলেছি, সেগুলো আপনারা শুনেছেন। সেগুলো বারে বারে পুনরাবৃত্তি করতে চাই না।
এর আগে সোমবার (০২ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টে (আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগ) নতুন মামলা দাখিলের পর কার্যতালিকাভুক্তিতে অনিয়ম বন্ধ করতে সুপ্রিম কোর্টের এফিডেভিট শাখায় সিসি ক্যামেরা বসানোর পরও তা অব্যাহত থাকায় হতাশা প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
তিনি বলেন, অনিয়মের অভিযোগ ঠেকানোর জন্য সিসি ক্যামেরা বসালাম। কিন্তু এখন দেখি বাইরে এসে এভিডেভিট করে।
সোমবার (০২ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চের কার্যতালিকার ৮৭ নম্বরে বাংলাদেশ সরকার বনাম তপন কুমার সাহার মামলা (সিভিল পিটিশন নম্বর ৩৯৯৪/২০১৮) শুনানির জন্য ছিল।
সকালেই অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন। তিনি বলেন, এটি আজকের (সোমবার) কার্যতালিকার ৩ নম্বরে থাকার কথা। কিন্তু ৮৭ নম্বরে গেল কীভাবে?
এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, সিসি কামেরা বসালাম (এফিডেভিট শাখা কক্ষে) এখন সবাই বাইরে এসে এফিডেভিট করে।
তখন অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, অনেকেই মামলার তালিকা উপর নিচ করে কোটিপতি হয়ে গেছেন।
এরপর প্রধান বিচারপতি তাৎক্ষণিক এক আদেশে ডেপুটি রেজিস্ট্রার মেহেদী হাসানকে তলব করেন। এই আদেশে তৎক্ষণাৎ আদালতে হাজির হন ডেপুটি রেজিস্ট্রার মেহেদী হাসান। প্রধান বিচারপতি তার কাছে এই অনিয়মের বিষয় জানতে চান।
জবাবে মেহেদী হাসান কোন প্রক্রিয়ায় মামলা আপিল বিভাগের কার্যতালিকাভুক্ত করা হয় তার ব্যাখ্যা দেন। এসময় প্রধান বিচারপতি তাকে মামলা কার্যতালিকাভুক্ত করার ক্ষেত্রে সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৯/আপডেট: ১৬৪৮ ঘণ্টা
ইএস/এমএ