পৃথক ৮টি রিটের জারি করা রুল মঞ্জুর করে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি আহমদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার (০৩ ডিসেম্বর) এ রায় দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাসগুপ্ত।
পরে অমিত দাসগুপ্ত বলেন, কয়েকজন আবেদনকারী আগে ভাতা পেতেন। কিন্তু পরে তাদের এটা বন্ধ করা হয়েছিলো। কেননা তাদের গেজেট হয় নাই। এ কারণে গেজেটভুক্ত ও ভাতা চেয়ে তারা রিট করেন। বাকিদের যাচাই বাছাই কমিটি মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) এর কাছে সুপারিশ করে। জামুকা এটি মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। কিন্তু মন্ত্রণালয় তাদের গেজেটভুক্ত করেনি। এটা চ্যালেঞ্জ করে তারা রিট করেন। আজ আদালত রায় দিয়ে বলেছেন, ২০৮ জনকে গেজেটভুক্ত করে ভাতা প্রদানে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে। রায় পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করতে হবে। রাষ্ট্রপক্ষ রায় পেলে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপ করে আপিল বিভাগে যাবে।
তিনি আরও বলেন, আদালত বলেছেন- মুক্তিযোদ্ধারা যদি অস্বচ্ছল থাকেন সেটি রাষ্ট্রের জন্য লজ্জা। মুক্তিযোদ্ধা ভাতা এটি মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য করুণা নয়। বরং এটি তাদের অধিকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৯
ইএস/জেডএস