বিমানের কার্গো শাখার ১১৮ কোটি টাকা আত্মসাতের এক মামলায় মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাদের আদালতে হাজির করে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে রাখার আবেদন করেন দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা।
তবে জামিন বিষয়ে আদেশ দেওয়ার এখতিয়ার না থাকায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইলিয়াস মিয়া তাদের কারাগারে পাঠান।
এর আগে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানান, মঙ্গলবার দুপুরে কাকরাইল এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এদিন সকালেই দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ গ্রেফতার দু’জনসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন সংস্থাটির উপ-পরিচালক নাসির উদ্দিন।
এজাহারে বলা হয়, আসামিরা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কার্গো শাখায় দায়িত্ব পালনকালে পারস্পরিক যোগসাজশে অবৈধ সুবিধা নিয়ে কার্গো ও মেইল হ্যান্ডলিং চার্জের ১১৮ কোটি ৪ লাখ ১৭ হাজার ৪৮ টাকা আদায় না করে সরকারের আর্থিক ক্ষতি করেছেন। এ কারণে আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪১৮/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন-১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
আসামিরা হলেন- বিমান বাংলা এয়ারলাইন্সের ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক (কার্গো) মো. আরিফ উল্লাহ, সৌদি আরবের কান্ট্রি ম্যানেজার মো. শহিদুল ইসলাম, সৌদি আরবের রিয়াদের রিজিওনাল ম্যানেজার আমিনুল হক ভুঁইয়া, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক) মো. লুতফে জামাল, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক) মোশাররফ হোসেন তালুকদার, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক) রাজীব হাসান, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক) নাসির উদ্দিন তালুকদার, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক) অনুপ কুমার বড়ুয়া, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক (চলতি দায়িত্ব/বাণিজ্যিক) কেএন আলম, সহকারী ব্যবস্থাপক (আমদানি শাখা) ফজলুল হক, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক) সৈয়দ আহমেদ পাটওয়ারী, মনির আহমেদ মজুমদার, একেএম মঞ্জুরুল হক ও মো. শাহজাহান।
বাংলাদেশ সময়: ২০২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৯
কেআই/এএ