হাজির হয়ে জামিন আবেদনের পর বুধবার (০৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এ সময়ের মধ্যে তাদের নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে।
শওকত মাহমুদ ছাড়া অন্যরা হলেন-স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল।
এর আগে একই মামলায় ১ আগস্ট বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, বিএনপির যুগ্ম -মহাসচিব হাবীন উন নবী খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীকে ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। ।
এছাড়া ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার এ মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালও একই মামলায় জামিন পেয়েছেন।
গত ২৬ নভেম্বর দুপুরে বিএনপির নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের সামনের রাস্তায় অবস্থান নেন। এরপর পুলিশ তাদেরসরিয়ে দিতে লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। পুলিশের ধাওয়ায় নেতাকর্মীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেন।
ঘটনার দিনগত রাতে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৫০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করে, মামলার নম্বর ৩২।
এই মামলায় ২৭ নভেম্বর সকালে মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে এ মামলায় ২৮ নভেম্বর বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অবশ্য ওইদিন নিম্ন আদালতে তাদের জামিন মঞ্জুর হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৯
ইএস/এমএ