এ বিষয়ে করা জেল আপিল খারিজ করে এবং ডেথ রেফারেন্স গ্রহণ করে বৃহস্পতিবার (০৪ ডিসেম্বর) রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মো.কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আমিনুল ইসলাম, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল শোভানা বানু, ফারহানা আফরোজ ও শামসুন নাহার লাইজু।
আসামি পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী রওশন আরা বেগম।
আদালতের রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে আমিনুল ইসলাম বলেন, ২০১৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত বোরহানকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
বোরহান উদ্দিন হোসেনপুর উপজেলার নামা সিদলা গ্রামের মৃত সদর আলীর ছেলে।
তিনি আরও জানান, ২০১৩ সালের ০১ আগস্ট পারিবারিক বিরোধের জের ধরে বোরহান তার ছোট ভাই ফারুকের স্ত্রী নাজমা আক্তার অন্তরা (৩০) এবং দুই ছেলে শাহজাহান (৮) ও শাহ পরানকে (৫) লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন।
বাড়ি থেকে পালানোর পথে বোরহানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওমর ফারুক বাদী হয়ে হোসেনপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত।
পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। একই সঙ্গে বোরহান জেল আপিলও করেন।
বোরহান ১৯৯৩ সালে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে বড় ভাই সোহরাবকে হত্যা করে। ওই মামলায় তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়।
২০ বছর জেল খাটার পর ২০১৩ সালে মুক্তি পান বোরহান। বাড়ি ফিরে সব সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৯
ইএস/এমএ