সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুদকের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা মো. জুলফিকার বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
মামলার অভিযোগপত্রে মোট ১১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগত্রে ফারমার্স ব্যাংকের নিরীক্ষা কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতীর (বাবুল চিশতী) নাম নতুনভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আর তদন্তের সময় এজাহারনামীয় আসামি ফারমার্স ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক (গুলশান) মো. জিয়া উদ্দিন আহমেদ মারা যাওয়ায় তাকে এ মামলার দায় থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ও ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমান পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড) সাবেক এমডি একেএম শামীম, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাবেক ক্রেডিট প্রধান গাজী সালাহউদ্দিন, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সফিউদ্দিন আসকারী আহমেদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, টাঙ্গাইলের মো. শাহজাহান, নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা, সাভারের সান্ত্রী রায় (সিমি) ও রনজিৎ চন্দ্র সাহা।
অভিযোগের বিবরণীতে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করে নিজেরা লাভবান হয়ে এবং অন্যদের লাভবান করে অবৈধভাবে ভুয়া ঋণ সৃষ্টির মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করে নগদে উত্তোলন ও বিভিন্ন পে-অর্ডারের মাধ্যমে স্থানান্তর করে অর্জিত অপরাধলব্ধ আয় উত্তোলন, স্থানান্তর ও নিজেদের ভোগদখলে রেখে অবৈধ প্রকৃতি উৎস অবস্থান গোপন করে পাচার করেছেন বা পাচারের ষড়যন্ত্রে সংঘবদ্ধভাবে সম্পৃক্ত থেকে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
এর আগে চলতি বছরের ১০ জুলাই ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভুয়া ঋণের মাধ্যমে চার কোটি টাকা স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করার অভিযোগ মামলাটি করে দুদক। গত ৪ ডিসেম্বর এ মামলায় অভিযোগপত্র অনুমোদন দেয় দুদক।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৯
কেআই/ওএইচ/