ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

গ্রাম পুলিশদের ১৯ ও ২০তম গ্রেডে বেতন দেওয়ার নির্দেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৯
গ্রাম পুলিশদের ১৯ ও ২০তম গ্রেডে বেতন দেওয়ার নির্দেশ

ঢাকা: গ্রাম পুলিশের মধ্যে মহল্লাদারদের জাতীয় বেতন স্কেলের ২০তম গ্রেড এবং দফাদারদের ১৯তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

২০১৭ সালে গ্রাম পুলিশ সদস্যের করা এক রিটের জারি  করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) এ রায় দেন বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

একইসঙ্গে আদালত বেতন স্কেল অনুসারে ২০১১ সালের ২ জুন থেকে তাদের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে বলেছেন।

এ আদেশ বাস্তবায়ন করে ২০২০ সালের মার্চে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী হুমায়ূন কবির পল্লব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ওয়ায়েস আল হারুনী।

আদালতের আদেশের বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ওয়ায়েস আল হারুনী।

ঢাকার ধামরাইয়ের টুপিরবাড়ীর হাটকুশারা এলাকার বাসিন্দা লাল মিয়াসহ কয়েকজন গ্রাম পুলিশ সদস্যের করা রিটে ২০১৭ সালের ৩ ডিসেম্বর রুল দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

ওইদিন হুমায়ুন কবির বলেছিলেন, ব্রিটিশ আমল থেকে এ বাহিনী বিভিন্ন আইনের অধীনে কাজ করে আসছে। সর্বশেষ স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ সালের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ আইনের অধীনে ২০১৫ সালে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) গ্রাম পুলিশ বাহিনীর গঠন, প্রশিক্ষণ, শৃঙ্খলা ও চাকরির শর্তাবলী সম্পর্কিত বিধিমালা তৈরি করা হয়।
 
কিন্তু এ বিধিতে তাদের কোনো শ্রেণি নির্ধারণ করা হয়নি। এদিকে এক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় গ্রাম পুলিশদের ৪র্থ শ্রেণির স্কেল নির্ধারণে অর্থ বিভাগকে চিঠি দেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত তারা না নেওয়ায় হাইকোর্টে রিট করা হয় বলে জানান হুমায়ুন কবির পল্লব।
 
তিনি আরও বলেন, একজন ভিক্ষুকও দৈনিক পাঁচশ টাকা আয় করে। কিন্তু একজন গ্রাম পুলিশ ২৪ ঘণ্টা কাজ করে দৈনিক মাত্র তিনশ টাকা (!) বেতন পান। আবার তাদেরকে নিয়োগ দেয় সরকার। কিন্তু বিধিমালায় তাদের কোনো শ্রেণি নির্ধারণ করা হয়নি।  
   
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৯
ইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।