বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে ছয় মাসের জামিন দেন। আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
পরে ব্যারিস্টার ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল জানান, এ মামলার বাদী ব্যারিস্টার আতিকুর রহমান এবং এ মামলার আসামি ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। এটা দুইজন আইনজীবীর মধ্যকার ব্যাপার। দুইজন ইংলিশ বারের সদস্য এবং সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্য।
‘সুতরাং তাদের মধ্যে এই ভুল বোঝাবুঝির অবসান হওয়ার দরকার। বাদীর যে আশঙ্কা বা অভিযোগ তা নিরসন (মিটিগেট) করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবীরা এ ব্যাপারে ভূমিকা রাখবেন। ’
তিনি বলেন, আদালত বলেছেন- ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এই মর্মে অঙ্গীকার দিবেন, যতই তাদের পূর্বে ভালো বন্ধুত্ব থাকুক, পারিবারিক সম্পর্ক থাকুক না কেন, (ব্যারিস্টার আতিকের) পরিবারের কোনো বিষয়ের মধ্যে কায়সার কামাল আর কোনো রকম ইন্টারফেয়ার করবেন না, জেলখানা থেকে।
‘এটা জেল সুপারের মাধ্যমে সিএমএম আদালতে দিবেন। আমরাও কায়সার কামালের পক্ষে এই অঙ্গীকারনামা দিয়েছি। পরে আদালত তাকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন। একই সঙ্গে তাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন। ’
ব্যারিস্টার আতিকুর রহমান নামে তারই এক কনিষ্ঠ আইনজীবীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৪ ডিসেম্বর রাতে কায়সার কামালকে আটক করে কলাবাগান থানা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় একটি মামলাও দায়ের করেন তিনি।
সেই মামলায় কায়সার কামালকে আদালতে হাজির করে তিনদিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তারী কর্মকর্তা কলাবাগান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আওলাদা হোসেন। পরে আদালত তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।
মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, আতিকুর রহমানের অনুমতি ছাড়া তার স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ, গাড়িতে নিয়ে ঘোরা তথা সম্পর্ক বজায় রেখেছেন কায়সার কামাল। এ সম্পর্কের ফলে মৌন ও নিজের সংসার জীবনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন-মর্মে কায়সার কামালের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনেছেন আতিকুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৯
ইএস/এমএ