এই মামলার আসামিরা হলেন- রাকিবুল হাসান রিগ্যান (২১), সালাহ উদ্দিন কামরান (৩০), আব্দুর রউফ প্রধান (৬৩), আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে র্যাশ (২০), শরীফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ওরফে সোলায়মান (২৫), মামুনুর রশিদ রিপন ওরফে মামুন (৩০), আজাদুল কবিরাজ ওরফে হার্টবিট (২৮), আবুল কাশেম ওরফে বড় হুজুর (৬০), আব্দুস সবুর খান হাসান ওরফে সোহেল মাহফুজ ওরফে নাসরুল্লা হক ওরফে মুসাফির ওরফে জয় ওরফে কুলমেন (৩৩), হাদিসুর রহমান সাগর (৪০) ও আজাদুল কবিরাজ।
এর মধ্যে আবুল কাশেম এবং আব্দুর রউফ প্রধান জামিনে আছেন।
মামলাটিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গোলাম ছারোয়ার খান জাকির বাংলানিউজকে বলেন, পলাতক আসামি জাহিদুল কবিরাজের বিরুদ্ধে এর আগে ক্রোক পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করেননি অথবা তাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেফতার করতে পারেনি। তাই গত ৩ ডিসেম্বর আদালত পলাতক আসামিকে হাজির হতে পত্রিকা বিজ্ঞপ্তি জারির নির্দেশ দিয়েছিলেন। সে অনুযায়ী রোববার পত্রিকায় জারি করা বিজ্ঞপ্তি আদালতে উপস্থাপন করা হয়। এরপর আদালত এই মামলায় চার্জ গঠন শুনানির জন্য আগামী ১৪ জানুয়ারি দিন ঠিক করেন।
তিনি বলেন, এই সময়ের মধ্যে সেই পলাতক আসামি আত্মসমর্পণ না করলে অথবা তাকে গ্রেফতার করা না গেলে তার অনুপস্থিতিতেই এই মামলার বিচার শুরু হবে।
২০১৮ সালের ৫ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ১০ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেন। চলতি বছর ৯ মে মামলাটি সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস।
জাহাজ বাড়িতে অভিযানে নিহত নয়জন এবং নারায়ণগঞ্জে নিহত তামিম চৌধুরী ও আশুলিয়ায় নিহত সরোয়ার জাহানকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
২০১৬ সালের ২৫ জুলাই কল্যাণপুরের পাঁচ নম্বর সড়কে জাহাজ বাড়ি নামে পরিচিত ভবনটিতে রাতভর অভিযান চালায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। সকালে এক ঘণ্টার মূল অভিযানে নয় জঙ্গি নিহত হয়। আহত হন রিগ্যান নামে আরও একজন।
অভিযানের দু’দিন পর মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. শাহ জালাল আলম সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৯
কেআই/একে