রোববার (২২ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ-উর-রহমানের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন তিনি। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে শাহ আলী থানার ওসিকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আইনজীবী কাওসার আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, আসামি সাইফুল ইসলাম গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া থানার বান্ধাবাড়ি গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে।
তিনি জানান, মুক্তিযোদ্ধার সনদ পেতে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির কাছে আবেদন করে ব্যর্থ হন আকবর আলী। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা বাছাই কমিটির এই সিদ্ধান্তে সংক্ষুব্ধ হয়ে ঢাকায় আপিল কমিটিতে আবেদন করেন। ওই সূত্রে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মচারী সাইফুল ইসলামের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। আপিল পক্ষে যেতে বাদীর কাছে অফিস খরচ বাবদ চার লাখ টাকা চান সাইফুল। পরে ২০১৭ সালের ২ মে শাহ আলী থানার কাছে কয়েকজনের উপস্থিতিতে আসামিকে ২ লাখ টাকা দেন আকবর। পরে ৭ জুন সাইফুলের ব্যাংক হিসাবে আরও ২ লাখ ১ হাজার টাকা দেন তিনি।
আইনজীবী কাওসার আহমেদ বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সাইফুল প্রতিশ্রুত কাজ করে দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করে টাকা ফেরত চান আকবর। কিন্তু সাইফুল বিভিন্ন টালবাহানা করে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। গত ৭ আগস্ট সাইফুলের বাসায় গিয়েও তাকে পাননি আকবর। পরে সাইফুলের স্ত্রীর কাছে যোগাযোগ করার কথা বলে ফিরে আসেন আকবর। ওই দিন রাত ৯টার দিকে সাইফুল বিসিআইসি কলেজের মূল ফটকে বাদীর সঙ্গে দেখা করে বলেন, বাদী তার বাসায় গিয়ে মান-সম্মান নষ্ট করেছে। এ সময় বাদী ৪ লাখ ১ হাজার টাকা ফেরত চাইলে তাকে হত্যার হুমকি দেন।
সাইফুলের কাছ থেকে প্রতারণার শিকার হয়ে শেষ পর্যন্ত আকবর আদালতে মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান তার আইনজীবী।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৯
কেআই/এসএ