সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে যশোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (দ্বিতীয় আদালত) মো. সাইফুদ্দিন এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এদিন তাকে আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন জানায় পুলিশ।
এর আগে, ১৯ ডিসেম্বর পুলিশ আদালতের কাছে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানালে পাঁচদিন মঞ্জুর করা হয়। পুলিশ জানায়, আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুনরায় সাতদিন রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়।
জানা গেছে, গত ১৬ ডিসেম্বর রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপাচারের অভিযোগ এনে বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি মামুন খান কনস্টেবল দেবপ্রসাদ সাহার বিরুদ্ধে ওই থানায় একটি মামলা করেন। পরে ১৭ ডিসেম্বর সকালে যশোরের বেনাপোল বন্দর থানা-পুলিশ দেবপ্রসাদ সাহাকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দেব প্রসাদ সাহা ঢাকার উত্তরা ১ নম্বর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত। এর আগে তিনি ২০১৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ১৭ আগস্ট পর্যন্ত বেনাপোল অভিবাসন বিভাগে কর্মরত ছিলেন।
সেখানে থাকা অবস্থায় তিনি যখন-তখন নো ম্যান্স ল্যান্ড অতিক্রম করে ভারতে যাওয়া আসা করতেন। বেনাপোলে দায়িত্ব পালনকালে বিশেষ বাহিনীর দুজন সদস্যের সঙ্গে তার সম্পর্ক হয়। ওই দুজন মাঝেমধ্যে ভারতে গিয়ে এস চক্রবর্তী ও পিন্টু নামে দুজনের কাছে বাংলাদেশের গোপনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার করতেন।
২০১৮ সালের শেষের দিকে দেব প্রসাদ সাহা বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংবলিত একটি পেনড্রাইভ নোম্যান্সল্যান্ড অতিক্রম করে ভারতে পাচার করেন।
এর ১৫ দিন পর তিনি বিশেষ বাহিনীর এক সদস্যের কাছ থেকে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংবলিত পেনড্রাইভ এনে ভারতের এস চক্রবর্তী ও পিন্টুর কাছে হস্তান্তর করেন। গত ২৫ অক্টোবর ঢাকার কমলাপুরের একটি হোটেল থেকে ডিজিএফআই ও র্যাবের হাতে সৈনিক শাহানেওয়াজ শাহীন আটক হন।
এ সময় তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি পেনড্রাইভ জব্দ করা হয়। তিনি ভারতে তথ্যপাচারের বেশ কিছু বিষয় জানান। পরে পুলিশ হেড কোয়ার্টার্স তদন্ত কমিটি গঠন করে বিষয়টি অনুসন্ধানে নামে।
তদন্তে কথোপকথনের ভিডিও সিডির মাধ্যমে ভারত-বাংলাদেশে তথ্য পাচারের বিষয়টি উঠে আসে। দেব প্রসাদ সাহা খুলনার তেরখাদা উপজেলা সদরের সুরেন্দ্রনাথ সাহার ছেলে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯
ইউজি/এমএ