ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

শমী কায়সারের মামলায় পিবিআই’র তদন্ত জমা পড়েনি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯
শমী কায়সারের মামলায় পিবিআই’র তদন্ত জমা পড়েনি

ঢাকা: চু‌রির সন্দেহে সাংবাদিকদের আট‌কে রাখার ঘটনায় অভিনেত্রী শমী কায়সারের বিরুদ্ধে করা মানহানি মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়নি।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) এই মামলার প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে পিবিআই প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২০ জানুয়ারি নতুন দিন ধার্য করেছেন।

গত ২৪ অক্টোবর এই মামলায় শমী কায়সারের বিরুদ্ধে অভিযোগের ‘সত্যতা পায়নি’ মর্মে চূড়ান্ত প্রতিবেদন (ফাইনাল রিপোর্ট) দেন শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুব রহমান। ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন করেন মামলার বাদী নুজহাতুল হাসান।

সেই নারাজি আবেদনের উপর শুনানি শেষে গত ২৫ নভেম্বর একই আদালত অভিযোগটির অধিকতর তদন্ত করে ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন।  

গত ২৪ এপ্রিল জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠান থেকে শমী কায়সারের দু’টি স্মার্টফোন চুরি হয়ে যায়। ওই অনুষ্ঠানে প্রায় অর্ধশত সাংবা‌দিক ও ক্যামেরাপারসন এবং শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। হারা‌নো মোবাইল সাংবা‌দিকরা চু‌রি ক‌রে‌ছেন ব‌লে গেট আট‌কে রাখেন এবং সবাইকে তল্লা‌শির কথা ব‌লেন শমী কায়সার। পরে টেলিভিশন ক্যা‌মেরার ফু‌টেজ দে‌খে বাইরের একজ‌নের কাছ থে‌কে মোবাইল দু’টি পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় সামা‌জিক যোগা‌যোগ মাধ্য‌মে সমা‌লোচনার ঝড় ওঠে। প‌রে ৩০ এপ্রিল স্টুডেন্ট জার্নাল বিডির সম্পাদক নুজহাতুল হাসান দণ্ডবিধির ৫০০ ধারায় শমী কায়সারের বিরুদ্ধে মানহানি মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামির আচরণ বাদী ও দেশের সাংবাদিক সম্প্রদায়সহ সমাজের অন্যান্য মহলের জন্য অত্যন্ত মানহানিকর ও অপমানজনক। আসামির এ রকম আচরণ অনলাইনে প্রচারিত হওয়ায় বাদী ও সাংবাদিকদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। সাংবাদিকদের চোর আখ্যায়িত করে দেশ ও জাতির কাছে বাদীর ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন আসামি।

আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ায় জন্য শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) সেদিন নির্দেশ দিয়েছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯
কেআই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।