ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ডিজিটাল ওকালতনামায় থাকছে আইনজীবীর পরিচয়-ছবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৯
ডিজিটাল ওকালতনামায় থাকছে আইনজীবীর পরিচয়-ছবি

ঢাকা: জালিয়াতি ঠেকাতে ঢাকা আইনজীবী সমিতি চালু করেছে ডিজিটাল ওকালতনামা ও জামিননামা। যেখানে থাকছে আইনজীবীর নাম ও পরিচয়। 

গত বৃহস্পতিবার থেকে পরীক্ষামূলকভাবে নতুন এই ওকালতনামা ও জামিননামা বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে এই কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে আগামী ২ জানুয়ারি।

এদিন ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ মো. হেলাল চৌধুরী নতুন ওকালতনামা ও জামিননামা বিক্রির কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন।

ঢাকা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য তানভীর আহমেদ সজীব বাংলানিউজকে জানান, এরইমধ্যে যেসব ওকালতনামা ও জামিননামা প্রিন্ট করে বিক্রির জন্য ছাড়া হয়েছে সেগুলো আদালতে ব্যবহার করা যাবে। তবে নতুন করে আর পুরনো ওকালতনামা এবং জামিননামা ছাপানো হবে না।  

নতুন এই ওকালতনামা কিনতে একজন আইনজীবীকে নির্দিষ্ট বুথে গিয়ে তার সদস্য নম্বর বলতে হবে। এরপর প্রিন্ট করে ডিজিটাল ওকালতনামা দেওয়া হবে। যেখানে থাকছে আইনজীবীর ছবি, সমিতিতে তার সদস্য নম্বর ও কিউআর কোড। কিউআর কোডটি স্ক্যান করলে যে কেউ তাৎক্ষণিকভাবে ওই আইনজীবীর নাম-ঠিকানা এবং তিনি কবে বার কাউন্সিলে নিবন্ধিত ও ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য হয়েছেন তা জানা যাবে।

ডিজিটাল ওকালতনামা ও জামিননামা বিক্রির জন্য তৈরি করা হয়েছে তিনটি আধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত বুথ। ঢাকা আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে পূবালী ব্যাংকের পাশে একটি, পুরনো জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনের বিপরীতে একটি এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) এলাকায় একটি বুথ স্থাপন করা হয়েছে।  

ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান খান রচি জানান, বেশকিছু দিন ধরে একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র আইনজীবী সমিতির ওকালতনামা জাল করে আসছিল। চলতি বছর একাধিকবার এই চক্রের সদস্যদের হাতেনাতে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। তবে জালিয়াতি পুরোপুরি ঠেকাতে এবার ঢাকা আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে ডিজিটাল পদ্ধতির ওকালতনামা ও জামিননামা বিক্রি শুরু করা হয়েছে। এর সুফল আইনজীবীরাই পাবেন।  

একজন বিচারপ্রার্থীকে পছন্দের আইনজীবী নিয়োগ দিতে হলে ওকালতনামায় স্বাক্ষর করতে হয়। এতোদিন কাগজে ছাপানো ওকালতনামা ভ্যান্ডারদের মাধ্যমে বিক্রি করা হতো। আর কোনো আসামি আদালত থেকে জামিন পেলে তার আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনদারসহ জামিননামা (বেইল বন্ড) আদালতে জমা দিতে হয়। সেগুলোও এসব ভ্যান্ডারদের মাধ্যমে বিক্রি করা হতো। এখন আর সেই পুরনো পদ্ধতি থাকছে না।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৪ ঘণ্টা, ডি‌সেম্বর ২৪, ২০১৯
‌কেআই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।