এই দু’জন হলেন- গোলাম রাব্বী ও ইমন হোসেন ওরফে হাসান।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলাম ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
অপর তিন আসামিকে ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) সৈয়দ ইফতেখার হোসেন। শুনানি শেষে একই আদালত তাদের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডে পাঠানো আসামিরা হলেন- বাবুল হোসেন ওরফে বাবু, সোহেল প্রধান ও মো. আলামিন খন্দকার ওরফে রিহান।
গত ২৫ ডিসেম্বর ভোরে চার-পাঁচজন দুর্বৃত্ত শান্তি নিকেতনের তোবারকের চতুর্থ তলার ফ্ল্যাটের ডোরবেল বাজায়। এ সময় তার পালিত ছেলে সাইফুল ইসলাম দরজা খুলে দিলে দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তোবারককে জখম করেন। খবর পেয়ে পুলিশ তোবারককে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় বুধবার রাতে তোবারকের ভাই মোবারক হোসেন বাদী হয়ে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় হত্যা মামলা করেন। ওই মামলার পর গতকাল শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি, দড়ি ও লুট করে নেওয়া দুই লাখ ৪২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।
তিনি বলেন, বাসার মোটা অঙ্কের নগদ টাকা লুট করার উদ্দেশ্যেই ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করেন তোবারকের সাবেক কর্মচারী শাহিন। চাকরিচ্যুতির প্রতিশোধ নিতে অর্থলুটের পরিকল্পনা করলেও হত্যার পরিকল্পনা ছিলো না তাদের। কিন্তু, ডাকাতির সময় ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ছুরিকাঘাতে মারা যান ব্যবসায়ী তোবারক।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৯
কেআই/এএটি