বৃহস্পতিবার (০২ জানুয়ারি) ঢাকার এক নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কাজী আব্দুল হান্নান এই মামলায় অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। আদালত আগামী ৮ জানুয়ারি এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেছেন।
অভিযোগ গঠনের সময় আসামি হারুনের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। একই সঙ্গে তার পক্ষে কোনো অব্যাহতির আবেদনও করা হয়নি বলে জানান ওই আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এমএ বারী।
বৃহস্পতিবার অভিযোগ গঠনের সময় বিচারকের প্রশ্নের জবাবে প্রথমে নিজেকে দোষী বলে স্বীকার করেন আসামি হারুন। তবে এজলাসে উপস্থিত আইনজীবী ও আদালত কর্মচারীদের কথায় তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন বলে আদালত কক্ষে উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান তিনি নিজেই।
গতবছর ৫ নভেম্বর এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির ওয়ারী জোনাল টিমের পরিদর্শক মোহাম্মদ আরজুন।
গত ২০ নভেম্বর ঢাকার মহানগর হাকিম মইনুল ইসলাম অভিযোগপত্রটি ‘দেখিলাম’ লিখে স্বাক্ষরের পর মামলাটি বিচারের জন্য এক নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এ বিচারের জন্য বদলির আদেশ দেন।
২০১৯ সালের ৫ জুলাই সন্ধ্যার পর থেকে শিশু সায়মা নিখোঁজ ছিল। অনেক খোঁজাখুঁজির পর আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ওয়ারীতে বনগ্রামের খালি ফ্ল্যাটের নবম তলায় তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
এ সময় তার গলায় রশি প্যাঁচানো, মুখ বাঁধা ও রক্তাক্ত অবস্থায় ছিল। খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনার পরদিন সায়মার বাবা আব্দুস সালাম বাদী হয়ে ওয়ারী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
এই মামলার একমাত্র আসামির বাড়ি কুমিল্লায়। ওয়ারীর বনগ্রামের যে বহুতল ভবনে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনাটি ঘটেছে, তার অষ্টম তলায় খালাতো ভাই পারভেজের বাসায় থাকতেন তিনি। ঠাঁটারীবাজারে পারভেজের রঙের দোকানেই তিনি কাজ করতেন।
আর হত্যার শিকার সাত বছর বয়সী মেয়েটি ষষ্ঠ তলায় পরিবারের সঙ্গে থাকতো। অন্যদিনের মতোই আট তলায় পারভেজের মেয়ের সঙ্গে খেলতে যাওয়ার কথা বলে শুক্রবার বাসা থেকে বের হয় সে।
সায়মা হত্যা মামলার একমাত্র আসামি হারুন অর রশিদকে গত ৭ জুলাই তার বাড়ি কুমিল্লার তিতাস থানার ডাবরডাঙ্গা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।
পরদিন আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন হারুন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠান আদালত। সেই থেকে তিনি কারাগারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০২০
কেআই/এমএ