রোববার (১২ জানুয়ারি) আইন, মানবাধিকার ও সংবিধান বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি টাঙানোর পরে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এ মন্তব্য করেন।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আহসান রাজুর সঞ্চালনা ও সভাপতি ওয়াকিল আহমেদ হিরনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এএম আমিন উদ্দিন, সংগঠনের জ্যেষ্ঠ সদস্য ফারুক কাজী, মিজান মালিক, আশুতোষ সরকার, সাঈদ আহমেদ খান, মাশহুদুল হক প্রমুখ।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, গোটা জাতির জন্য একটি গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় বাঙালি জাতির ইতিহাসে একজন মহামানবকে পাওয়া। সেই মহামানব জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান। হাজার বছরের নয়, সর্বকালের বাঙালি জাতির ইতিহাসে যতটুকু খোঁজ পাওয়া যায়, তার মতো মহামানবের জন্ম আর হয়নি। সেজন্য আমরা তাকে বলি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান।
তিনি আরও বলেন, টুঙ্গীপাড়ার অজপাড়াগাঁয়ে বাগিয়ার খালের পাশে ছোট্ট একটি পরিবারে যার জন্ম হয়েছিল সেখানে তিনি ধীরে ধীরে খোকা মিয়া থেকে শেখ মুজিব, শেখ সাহেব, বঙ্গবন্ধু, জাতির জনক, তারপর স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি এবং একটা পর্যায়ে তিনি বিশ্বের নির্যাতিত, নিষ্পেষিত মানুষের নেতায় পরিণত হয়েছিলেন। এটা শুধু বাংলাদেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না।
গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, একাত্তর সালে যারা আমাদের দেশকে স্বীকৃতি দেয়নি তারাই কিন্তু পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরেরদিন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিল। ফলে এর রাজনৈতিক পর্যবেক্ষণের এটাই দাঁড়ালো, এই লোকরা অপেক্ষা করছিল যে শেখ মুজিবের মৃত্যু হলে বাংলাদেশকে স্বীকার দেবো, এর আগে করবো না?
রেজাউল করিম বলেন, আমরা এটা বলছি না যে, আওয়ামী লীগ সরকার সব ভালো কাজ করছে, আমরা সব ঠিক করে ফেলেছি। একথা একবারও বলি না। কিন্তু একটা কথা বলি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করার জন্য দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী যে অদম্য ইচ্ছা ও সাহস দেখিয়েছেন, এটা বিশ্বের ইতিহাসে বিস্ময়।
গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বলতে পারি, বাঙালিত্ব যতদিন থাকবে, বাঙালির স্বকীয়তা যতদিন থাকবে ততদিন বাঙালির হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু উজ্জ্বল ভাস্বর হয়ে থাকবেন। আমি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাই ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের কার্যালয়ে বাস্তবতার সঙ্গে তাগিদ বোধ করে বঙ্গবন্ধুর ছবিটাকে উত্তোলনের মধ্য দিয়ে জাতি হিসেবে নৈতিক দায়িত্ব পালন করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২০
ইএস/এএ