সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমাম এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাশেদুলের সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ওয়ারী থানার এসআই হারুন-অর রশিদ।
এসআই রাশেদুল আলম নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার ভুইঘর গ্রামের শহিদুল্লার ছেলে। রোববার (১২ জানুয়ারি) নারায়ণগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর মামলার বাদী শফিউল আলম আজাদ ও তার বন্ধু গিয়াসউদ্দিন, ভাগিনা মাহমুদুল হাসান মুন্নাসহ সিঙ্গাপুরে থাকা তার (শফিউল আলম আজাদ) মামার বাড়ি নির্মাণের জন্য সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে মাদারীপুরের উদ্দেশে রওনা হন। ওয়ারী থানা এলাকা টিপু সুলতান রোডে পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা চার-পাঁচজন একটি সিলভার কালারের মাইক্রোবাসে এসে র্যাব পরিচয় দিয়ে বাদীর পেটে অস্ত্র ঠেকিয়ে তাদের সবাইকে গাড়িতে উঠিয়ে নেয়। এরপর তাদের সবাইকে মুন্সীগঞ্জে নিয়ে হাত ও চোখ বেঁধে তাদের কাছে থাকা সাড়ে পাঁচ লাখ টাকাসহ অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র হাতিয়ে নেয়।
ওই ঘটনায় গত ১৮ ডিসেম্বর ওয়ারী থানায় ডাকাতির অভিযোগে শফিউল আলম আজাদ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলার পর বিভিন্ন সময় পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে রাশেদুল আলমের নাম উঠে আসে। এর প্রেক্ষিতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া আসামিদের মধ্যে রয়েছেন রিপন কাজী, মুক্তার হোসেন, আশিক ইকবাল, রাসেল আহমেদ, শরিফুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২০
কেআই/ওএইচ/