ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডাদেশ) গ্রহণ করে ও আসামির আপিল খারিজ করে সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা এ রায় দেন।
আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান রুবেল ও মো. মহিব উল্লাহ মারুফ।
রায়ের বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আমিনুল ইসলাম।
রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, যৌতুক এনে দিতে রাজি না হওয়ায় ২০১০ সালের ২৩ আগস্ট রাতে অন্তঃসত্ত্বা আছমিনা খাতুনকে (২০) শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।
পরে গৃহবধূর বাবা মোজাম্মেল হোসেন বাদী হয়ে আমিরুল ইসলাম ও তার বাবা নুরুল ইসলাম চৌকিদারসহ চারজনকে আসামি করে হাতিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
এ মামলায় ২০১৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে স্বামী আমিরুল ইসলাম ওরফে রাশেদকে মৃত্যুদণ্ড দেন। তবে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় মামলার অন্য তিন আসামি নুরুল ইসলাম চৌকিদার, রশিদ উদ্দিন ও সামছু উদ্দিনকে খালাস দেন।
পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের (ডেথরেফারেন্স) জন্য মামলার যাবতীয় নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। একইসঙ্গে আসামি আপিল করেন। ডেথ রেফারেন্স ও আসামির আপিলের ওপর শুনানি শেষে হাইকোর্ট বিচারিক আদালতের দেওয়া রায় বহাল রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২০
ইএস/টিএ