হাইকোর্ট থেকে পাওয়া চার সপ্তাহের আগাম জামিনের মেয়াদ শেষে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করেন বাহাউদ্দীন। পরে শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তাকে স্থায়ী জামিন দেন।
ইনকিলাব সম্পাদকের পক্ষে আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সৈয়দ আহমদ গাজী। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে মোশাররফ হোসেন কাজল শুনানি করেন।
এর আগে গত বছরের ১৮ নভেম্বর ইনকিলাব সম্পাদককে চার সপ্তাহের আগাম জামিন দেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ। জামিনের মেয়াদ শেষে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছিল। সে অনুযায়ী বুধবার তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন।
গত বছরের ৪ নভেম্বর এক কোটি ৭০ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে বাহাউদ্দীনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বাহাউদ্দীন এক কোটি ৭০ লাখ ২৯ হাজার ৪৩৩ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। তিনি দুদকে জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে ভিত্তিহীন ও মিথ্যা তথ্য দেওয়ার মাধ্যমে ৮৯ লাখ ১৯ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
বাহাউদ্দীনের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালে দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু হয়। অনুসন্ধানের সময় সম্পদের বিবরণীর নোটিশ জারি করা হলে ২০১৭ সালের ১ নভেম্বর দুদকে সম্পদ বিবরণী জমা দেন তিনি। সেখানে তিনি এক কোটি ৬৫ লাখ ১৮ হাজার ৬৯৫ টাকার সম্পদের তথ্য দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২০
কেআই/এইচজে