বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) মামলা হওয়ার পর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এরপর বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী হাজেরা আক্তার বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৫০০/৫০১/৩৮৫/৫০৬ ধারায় মামলা করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১ ডিসেম্বর সাপ্তাহিক রাজপথ বিচিত্রায় একটি লেখা প্রকাশ করেন আসামি সিরাজ। যার শিরোনাম ছিল ‘প্রতারণার বিজ্ঞাপনে নায়িকা নামধারী কলগার্ল একা, প্রতারণার বিজ্ঞাপনে পতিতার সর্দারনী রিনা খান, প্রতারণার বিজ্ঞাপনে নায়িকা সুজাতা, প্রতারণার বিজ্ঞাপনে নায়িকা নামধারী কলগার্ল জিকে শামীমের রক্ষিতা রত্না, দুই মাসির ঙ্গে ছিনতাইকারী মেহেদী হাসান নয়ন’।
এরপর গত ২০ ডিসেম্বর নতুন প্রজন্মের সাপ্তাহিক রাজপথ বিচিত্রায় আরও একটি লেখা প্রকাশ করা হয়। যার শিরনাম ছিল, ‘প্রতারণার বিজ্ঞাপনে নায়িকা সুজাতা, প্রতারণার বিজ্ঞাপনে নায়িকা নামধারী কলগার্ল জিকে শামীমের রক্ষিতা রত্না, চিত্রনায়িকা অঞ্জনা ও দুই মাসির সঙ্গে ছিনতাইকারী মেহেদী হাসান নয়ন’।
এসব সংবাদ প্রকাশের পর বাদী অঞ্জনা যোগাযোগ করলে তার কাছে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন আসামি সিরাজ। এরপর বাদী আসামির কাছে জানতে চান কেন চাঁদা দেব?
জবাবে আসামি বলেন, আমাকে চাঁদা দিতে হবে। কারণ তোমরা প্রতারণা করে নিরীহ জনগণের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছো। যে টাকা আবার চলচ্চিত্রের শিল্পীদের মধ্যে অর্ধেক অর্ধেক ভাগ হচ্ছে। তাই আমাকে টাকা দিতে হবে। না হয় আরও গোপন তথ্য আছে, যা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, এ ধরনের সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় বাদীর মানহানি ও আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। যার পরিমাণ পাঁচ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২০
কেআই/টিএ