দণ্ডবিধি ও তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের পৃথক দুটি মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা ও ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আশফাক রাজিব হাসান সম্প্রতি এই অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) এই সম্পূরক অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করার কথা রয়েছে।
ওই ঘটনায় দণ্ডবিধি আইনে এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের পৃথক দুটি মামলায় জুনায়েদ ও রিজভীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মৃদুল নামে একজনকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে।
মামলা দুটির তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আশফাক রাজিব হাসান বাংলানিউজকে বলেন, সম্পূরক অভিযোগপত্র কয়েকদিন আগেই দাখিল করা হয়েছে। তবে কার বিরুদ্ধে কি অভিযোগ আনা হয়েছে সেটা নথি না দেখে বলতে পারছি না।
সিএমএম কোর্টে ধানমন্ডি থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা ও পুলিশের উপ-পরিদর্শক আশ্রাফ আলী বাংলানিউজকে বলেন, সম্পূরক অভিযোগপত্র এসেছে। নির্ধারিত তারিখে তা আদালতে উপস্থাপন করা হবে।
সামাজিক মাধ্যমে আলোচিত এই ঘটনায় ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের একটি এবং মারধরের অভিযোগে দণ্ডবিধি আইনে অপর চার্জশিটটি দাখিল করা হয়েছিল। ওই বছরের ২৪ জানুয়ারি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট স্নিগ্ধা রানির আদালতে চার্জশিট দুটি উপস্থাপন করা হয়। কিন্তু চার্জশিটে ত্রুটি থাকায় তা সংশোধনের জন্য ফেরত পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়। এরপর ত্রুটি সংশোধন করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হলো।
মামলার ঘটনায় জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৩ মার্চ ধানমন্ডি লেকের পাড়ে একটি মারধরের ঘটনা ঘটে, যা ভিডিও করা হয়। ১০ মিনিটের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, এক কিশোরীকে কেন্দ্র করে নুরুল্লাহ নামে এক কিশোরকে মারধর করছে জুনায়েদ। জুনায়েদের অভিযোগ, নুররুল্লাহ তার বান্ধবীকে নিয়ে কটূক্তি করেছে। কিন্তু বারবার অভিযোগ অস্বীকার করেছে নুরুল্লাহ। তারপরও থামছে না জুনায়েদ। সে বার বার দম্ভ বলছে ‘আমাকে চিনিস, আমি জুনায়েদ’।
এ ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। মারধরের ঘটনায় ২০১৬ সালের ১৪ মার্চ রাতে ধানমন্ডি থানায় মামলা করে নুরুল্লাহ। প্রথমে পলাতক থাকলেও ওই বছরের ২০ মার্চ আইনজীবীর মাধ্যমে বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন জুনায়েদ। একই বছরের ৫ এপ্রিল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি। অপরদিকে তার কথিত বড় ভাই রিজভীকে ওই বছরের এপ্রিলে গ্রেফতার করে ধানমন্ডি থানা পুলিশ।
পরে দুজনই জামিনে মুক্তি পান বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২০
কেআই/জেডএস