বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে রোববার (১৯ জানুয়ারি) জামিন আবেদনের জন্য অনুমতি নিয়েছেন।
গত ১৬ জানুয়ারি ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. কায়সারুল ইসলাম প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, সাময়িকীটির সম্পাদক ও লেখক আনিসুল হকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
এর আগে নাইমুল আবরার নিহত হওয়ায় কিশোর আলো কর্তৃপক্ষের অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেছে মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আলিম এ প্রতিবেদন দাখিল করেন।
প্রতিবেদন আমলে নিয়ে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. কায়সারুল ইসলাম গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
প্রতিবেদনটিতে মতিউর রহমান ও আনিসুল হক ছাড়াও কবির বকুল, শুভাশিস প্রামানিক শুভ, মুহিতুল আলম পাভেল, শাহপরাণ তুষার, জসিম উদ্দিন তপু, মোশারফ হোসেন, মো. সুমন ও কামরুল হাওলাদারকে ঘটনাটির জন্য দায়ী করা হয়েছে।
ওইদিন আইনজীবী ওমর ফারুক আসিফ বাংলানিউজকে বলেন, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০৪ (ক) ধারায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ আনা হয়েছিল। একইসঙ্গে এ ঘটনায় আর কারা জড়িত এবং কার কী দায় রয়েছে, তা তদন্ত করার জন্য আমরা আবেদন জানিয়েছিলাম। স্বল্প সময়ের মধ্যেই এর প্রতিবেদন দাখিল করেছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। যে ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছিল, সে ধারাতেই কিশোর আলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত ১০ জনকে ঘটনার জন্য দায়ী করে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। আমরা এই প্রতিবেদনে সন্তুষ্ট।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার আদালত প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। এছাড়া এই ধারায় বিচারে চূড়ান্তভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আসামিদের সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ড হতে পারে।
গত বছরের ১ নভেম্বর ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে প্রথম আলোর সাময়িকী কিশোর আলোর অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নবম শ্রেণির ছাত্র নাইমুল আবরার রাহাতের মৃত্যু হয়।
এরপর ৬ নভেম্বর নাইমুল আবরারের বাবা মজিবুর রহমান প্রথম আলো সম্পাদক ও প্রকাশক এবং কিশোর আলোর প্রকাশক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
এ পরিপ্রেক্ষিতে আদালত শিক্ষার্থী নাইমুল আবরারের মরদেহ দ্রুত কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে এ ঘটনায় হওয়া অপমৃত্যুর মামলার সঙ্গে নতুন মামলা একীভূত করে তদন্ত করে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২০
ইএস/এসএইচ