এই মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দিন ধার্য ছিল। তবে এদিন ডিবির তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি নতুন দিন ধার্য করেছেন।
রেনু হত্যা মামলাটি তদন্ত করছিলেন বাড্ডা থানার ইনস্পেক্টর আব্দুর রাজ্জাক। গত নভেম্বরে মামলাটির তদন্তভার গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) দেওয়া হয়েছে।
গত ২০ জুলাই সকালে ছেলেধরা সন্দেহে রাজধানীর উত্তর বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে তাসলিমা বেগম রেনুকে বেধড়ক পেটানো হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ওইদিন বাড্ডা থানায় ৪০০/৫০০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিহত তাসলিমার ভাগ্নে নাসির উদ্দিন একটি হত্যা মামলা করেন।
নিহত রেনুর স্বজনদের দাবি, মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করাবে বলে খোঁজ নিতে বাড্ডার একটি স্কুলে গিয়েছিলেন রেনু এবং সেখানে গণপিটুনির শিকার হন তিনি। এই ঘটনায় জড়িত থাকা সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে তখন আটকও করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
নিহত তাসলিমার বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে। মহাখালীতে চার বছরের মেয়ে তুবা ও মাকে নিয়ে থাকতেন তাসলিমা। দুই বছর আগে স্বামীর সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়ে যায়। তাহসিন নামে ১১ বছরের এক ছেলেও আছে নিহত তাসলিমার।
বালাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২০
কেআই/জেডএস