আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিলের বিষয়ে প্রতিবেদন না আসায় বুধবার (২২ জানুয়ারি) ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এই আদেশ দেন। গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে।
আদালতে দুদকের পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, গত ৫ জানুয়ারি পলাতক ১০ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। কিন্তু সেই পরোয়ানা তামিলের বিষয়ে কোনো প্রতিবেদন না আসায় বিজি প্রেসের মাধ্যমে আসামিদের হাজির হতে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এদিকে অন্য মামলায় কারাগারে থাকা ফারমার্স ব্যাংকের নিরীক্ষা কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতি ওরফে বাবুল চিশতিকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখাতে (শোন অ্যারেস্ট) দুদকের পক্ষে আবেদন করা হয়েছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
গত ৯ ডিসেম্বর ১১ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়। অভিযোগত্রে ফারমার্স ব্যাংকের নিরীক্ষা কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতীর (বাবুল চিশতী) নাম নতুনভাবে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। এছাড়া তদন্তকালে এজাহারনামীয় আসামি ফারমার্স ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক (গুলশান) মো. জিয়া উদ্দিন আহমেদ মারা যাওয়ায় তাকে এ মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
ওই অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে গত ৫ জানুয়ারি এসকে সিনহাসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
মামলায় অভিযুক্ত আসামিরা হলেন- বিচারপতি এসকে সিনহা ও ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমান পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড) সাবেক এমডি একেএম শামীম, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রাক্তন ক্রেডিট প্রধান গাজী সালাহউদ্দিন, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সফিউদ্দিন আসকারী আহমেদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, টাঙ্গাইলের মো. শাহজাহান, নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা, সাভারের শ্রীমতি সান্ত্রী রায় (সিমি), শ্রী রনজিৎ চন্দ্র সাহা ও মো. মাহবুবুল হক চিশতী (বাবুল চিশতী)। এর মধ্যে বাবুল চিশতি ছাড়া অন্য আসামিরা পলাতক।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করে নিজেরা লাভবান হয়ে এবং অন্যদের লাভবান করে অবৈধভাবে ভুয়া ঋণ সৃষ্টির মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করে নগদে উত্তোলন ও বিভিন্ন পে-অর্ডারের মাধ্যমে স্থানান্তর করে অপরাধলব্ধ আয় উত্তোলন, স্থানান্তর ও নিজেদের ভোগদখলে রেখে প্রকৃত উৎস অবস্থান গোপন করে পাচার করেছেন বা পাচারের ষড়যন্ত্রে সংঘবদ্ধভাবে সম্পৃক্ত থেকে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২)(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
এর আগে চলতি বছরের ১০ জুলাই ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভুয়া ঋণের মাধ্যমে চার কোটি টাকা স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করার অভিযোগ মামলাটি করে দুদক। গত ৪ ডিসেম্বর এ মামলায় অভিযোগপত্র অনুমোদন দেয় দুদক।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২০
কেআই/এইচজে