বুধবার (২২ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এই রায় দেন। রায়ে সুকুমারকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৬৯ লাখ ২ হাজার ২৮৪ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
দুই আসামির মধ্যে জামিনে থাকা নূর আলম আদালতে উপস্থিত থাকলেও সুকুমার রায় পলাতক রয়েছেন। আদালত নূর আলমকে সাজা পরোয়ানার মাধ্যমে কারাগারে পাঠান এবং সুকুমার রায়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
২০১৬ সালের জুলাই মাসে তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় একটি অর্থ আত্মসাতের মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ব্র্যাক ব্যাংক কর্মকর্তা সুকুমার রায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে মো. নুর আলমের সঙ্গে যোগসাজশে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে এক কোটি টাকার বেশি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
বহুজাতিক একটি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ইস্যু করা এক কোটি ২৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার তিনটি ডিমান্ড ড্রাফট (ডিডি) ও একটি পে-অর্ডার প্রতিষ্ঠানটির হিসাবে জমা না করে অন্য দু’টি হিসাবে স্থানান্তর করেন আসামিরা।
পরে চেক ও ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে এক কোটি ১০ লাখ ৪৩ হাজার ৬৫৫ টাকা তুলে নিয়ে আসামিরা আত্মসাৎ করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২০
কেআই/জেডএস