বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ এই আদেশ দেন।
এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি এই মামলায় এনুকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন একই আদালত।
গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর দুই ভাই এনু-রুপনের বাড়িতে অভিযান চালায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) র্যাব। সেখান থেকে টাকা ও গহনা জব্দ করার পর ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের কর্মচারী আবুল কালাম ও এনুর বন্ধু হারুন অর রশিদের বাসায় অভিযান চালানো হয়। ওই অভিযানে পাঁচ কোটি পাঁচ লাখ টাকা, আট কেজি স্বর্ণালঙ্কার ও ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করে সংস্থাটি।
এরপর দুদক তাদের সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধান চালায়। অনুসন্ধান শেষে গত বছর ২৩ অক্টোবর ৩৫ কোটি টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে অর্জনের অভিযোগে এই দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। সংস্থাটির ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলা দুটি করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশিদ চৌধুরী ও মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী।
এনামুল হক এনুর বিরুদ্ধে করা মামলার বাদী সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী। ওই মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, এনু ২১ কোটি ৮৯ লাখ ৪৩ হাজার টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।
এজাহারে এও বলা হয়েছে, এনুর আয়কর নথি, গণমাধ্যমের সংবাদ ও গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, এনুর বৈধ আয়ের কোনো উৎসই নেই। ক্যাসিনো থেকে আসা অর্থ দিয়েই তিনি প্রচুর সম্পদ অর্জন করেছেন। তিনি বিদেশেও বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়ে তুলেছেন বলে দুদকের কাছে তথ্য আছে।
এরমধ্যে ব্যবসার পুঁজি এবং এনু রুপন স্টিল করপোরেশনের শেয়ার বাবদ প্রদর্শিত দুই কোটি ৭১ লাখ ৮২ হাজার ৪৮১ টাকা অর্জনের সপক্ষে কোনো বৈধ আয়ের উৎস দেখাননি। এটা তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ।
এদিকে, গত ১৯ জানুয়ারি আরেক মামলায় রুপনকে পাঁচদিনের রিমান্ডে পাঠান একই আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২০
কেআই/টিএ