বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে বাদী কেরামত আলীর মেয়ের স্বীকারোক্তিতেই পঞ্চগড় চিফ জুডিশিয়াল আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান এই দণ্ডাদেশ দেন। তবে আদালতের রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কেরামত আলী অনুপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৯ মার্চ জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার টেপ্রিগঞ্জ ইউনিয়নের রামগঞ্জ বিলাসী হাজারীপাড়া এলাকার লস্কর মুন্সির ছেলে কেরামত আলী পাশের গ্রাম প্রধানপাড়ার তার আপন ভায়রা মোশারফ হোসেনের (৪২) নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন।
মামলায় কেরামত অভিযোগ করেন তার পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে মোশাররফ ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। মামলাটি চলাকালে ২০১৭ সালের ১১ জুলাই অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতে ওই মামলার মূল ভিকটিম কিশোরী আদালতে তার খালু মোশাররফ হোসেন তার কোনো ক্ষতি করেনি বলে স্বীকারোক্তি দেয়। এমনকি তার বাবা ও খালুর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে মামলাটি হয়েছে বলেও স্বীকারোক্তিতে বলে ওই কিশোরী।
স্বীকারোক্তি গ্রহণ করে ওই দিনই অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত বাদীর বিরুদ্ধে ২১১ ধারায় মামলা করে ব্যবস্থা নিতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতকে নির্দেশ দেন। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে বৃহস্পতিবার মিথ্যা মামলা করার অভিযোগে কেরামত আলীকে ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে আদালত।
এই মামলায় বাদী পক্ষে ছিলেন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মোস্তাফিজুর রহমান। আর আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মির্জা সারওয়ার হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২০
এমএ