এ বিষয়ে ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের শুনানি শেষে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।
২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. রেজাউল ইসলাম রায় দিয়েছিলেন।
রায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার উত্তমপুর গ্রামের আব্দুল মন্নাফের ছেলে রুবেল (২৫), ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার কোদালিয়া উত্তরপাড়ার ওসমান গনির ছেলে রোমান (২৪) ও বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দেউড়ি গ্রামের কবির বিশ্বাসের ছেলে রনি বিশ্বাস (২৪)।
পরে ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। এর মধ্যে আসামিরা আপিল করে।
এদিকে রোমান ২০১৮ সালে কারাবনি থাকাবস্থায় মারা যান।
ড. মো. বশির উল্লাহ জানান, হাইকোর্ট বাকি ২ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন।
২০১০ সালের ৬ জুন রাতে পুরান ঢাকার হোটেল শাহ কামালের নিচতলায় রুবেলকে খুন করে দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে আসামিরা। পরে তার কাটা মাথা নিয়ে আসামি রোমান পাশের হোটেল মীমে গিয়ে ম্যানেজারের কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে বলেন, টাকা না দিলে তাকে হত্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে।
রোমানকে টাকা দেওয়ার কথা বলে বসিয়ে রেখে পুলিশে খবর দেন হোটেলের ম্যানেজার। পরে পুলিশ এসে কাটা মাথাসহ তাকে গ্রেফতার করে।
পরে বাকি দুই আসামিকেও পুলিশ গ্রেফতার করে এবং তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হোটেল শাহ কামালের নিচতলায় একটি ঘরে রুবেলের দেহ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মরণ মিয়া সূত্রাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২০
ইএস/আরএ